• সোমবার , ৬ মে ২০২৪

বসুন্ধরার কম্বলে যশোরে রিনার আনন্দ অশ্রু


প্রকাশিত: ১০:৫৫ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২১ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০২ বার

যশোর প্রতিনিধি : সত্তোর্ধ্ব বৃদ্ধা রিনা বেগম। রাত কাটান যশোর রেল স্টেশন এলাকার এক ঘরের বারান্দায়। পায়ে ব্যাথার কারণে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করতেও পারেন না। রবিবার যশোর টাউন হল ময়দানে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘের কম্বল হাতে পাওয়ার পর তার চোখে নামে অশ্রুর বান। তবে এ অশ্রু বেদনার নয়, আনন্দের। ময়লা শাড়ির আঁচলে চোখ মুছে তিনি বললেন, বাবারে, পরের ঘরের বারান্দায় নাত্তিরি (রাত) থাকি। কিযে জাড় লাগে (শীত)। জাড়ে কালায় (জমে যাওয়া) যাই। দলাবলা হইয়ে শুইয়ে থাকি আর উইঠে বইসে থাকি। ঘুমোতি পারিনে। আইজগের তে আর নাত্তিরি দলাবলা হইয়ে থাকতি হবে না, কম্বল খান গায় দিয়ে আরামে ঘুমোতি পারবানে। তাই খুশিতি চোখে ইট্টু পানি আইয়েছে। যারা কম্বল দেছে আল্লা তাগের ভালো করুক।

একই মাঠে কম্বল হাতে পেয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মুক্তার হোসেনের মুখে ফুটল আনন্দের ঝিলিক, কম্বলে হাত বুলাতে বুলাতে তিনি বললেন, বুড়ো বয়সে রক্ত ঠাণ্ডা হইয়ে যায়। রক্তের জোর আর থাকে না। এজন্যি শীত বেশি লাগে। এই কম্বলডা গায় জড়াইয়ে রাত্তিরি গা গরম থাকপেনে। তিনি আরও বললেন, আল্লা বসুন্ধরা আলাগের আরও বেশি বেশি গরীব মানুষগের এইরাম দান করার ক্ষমতা দিক। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় কালের কণ্ঠ শুভ সংঘের উদ্যোগে রিনা বেগম ও মুক্তার হোসেনদের মতো যশোরের এমন অসহায় শীতার্ত দুই হাজার মানুষকে রবিবার কম্বল বিতরণ করা হয়।

নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন প্রধান অতিথি যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল। তিনি অসহায় শীতার্ত মানুষদের হাতে কম্বল তুলে দেন। এসময় তিনি বলেন, শুভসংঘ সবসময় সকল শুভ কাজে থাকে। এই শীতে যারা কষ্ট পায় আজকে তারা বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই কম্বল বিতরণ করছে। আপনারা এই বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দোয়া করবেন, তারা যেন আরও বেশি বেশি অসহায় গরীব মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে। তিনি আরও বলেন, আজকে বসুন্ধরা গ্রুপ যেভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এরকমভাবে অন্যান্য বিত্তশালীরা যদি আরও বেশি করে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে এদেশের অসহায় মানুষরা আর শীতে কষ্ট পাবে না। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান ।এদিন যশোর সদর উপজেলায় ৬০০শ, মনিরামপুর উপজেলায় ৩০০শ, কেশবপুর উপজেলায় ৩০০শ, চৌগাছা উপজেলায় ২০০শ, বেনাপোলে ২০০শ বাঘারপাড়া উপজেলায় ২০০শ ও অভয়নগর উপজেলায় ২০০শ কম্বল বিতরণ করা হয়।