• রোববার , ৫ মে ২০২৪

বদলে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের রাজনীতি-নতুন মঞ্চে ছোট মনি-নাহার আহমেদ


প্রকাশিত: ৩:৪৭ এএম, ২৬ জুলাই ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭৪ বার

tt---22 এস রহমান.ঢাকা: বদলে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের রাজনীতি।একটি হত্যার রাজনীতি বদলে পুরো টাঙ্গাইল এর চিত্র।রাজনীতির মঞ্চে এখন ছোট মনি এবং বড় মনিরা।একই সঙ্গে টা্ঙ্গাইল জেলায় নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদও দলীয় আনুকূল্য পাচ্ছেন।তাঁর সঙ্গে সাধারন মানুষের সহানুভূতিও রয়েছে।  জেলা আওয়ামী লীগ ও দলটির সকল সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা তাঁকে সমীহ করছেন।
টাঙ্গাইলে খান পরিবারের  সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের  প্রেক্ষাপটে নতুন করে দল সাজানোর প্রস্তাব ওঠায় বদলে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের রাজনীতি।সূত্র জানায়,  আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানা এবং টাঙ্গাইল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র সাহিদুর রহমান খান মুক্তিকে দল থেtttt-1কে বহিষ্কার করা হতে পারে।

জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার ফারুক বর্তমানে চিকিৎসার জন্য ভারতে রয়েছেন। তিনি দেশে ফিরলেই জেলা কমিটির সভা ডেকে রানা ও মুক্তিকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বরাবর পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় কমিটি সুপারিশে অনুমোদন দিলে দল থেকে বহিষ্কার হবেন এমপি রানা ও মুক্তি।

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ফারুক আহমেদ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এমপি রানা ও মুক্তিসহ আপন চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল শহরে নিজ বাসার সামনে খুন হন ফারুক আহমেদ। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে টানা সাত মাস আত্মগোপনে ছিলেন রানাসহ তার চার ভাই। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর গত ১২ জুলাই হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন রানা ও মুক্তি। বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লার সমš^য়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ পর পর দুদিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। ১৪ জুলাই আদালতের আদেশে বলা হয় দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে রানা ও মুক্তিকে আত্মসর্মপণ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করতে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দেন আদালত। এর পরই টাঙ্গাইলে ফিরে যান রানা ও মুক্তি। পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মুক্তি। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদেশে বলেন, রানা ও মুক্তিকে গ্রেপ্তারে বাধা নেই। এর পরই ফের আত্মগোপনে চলে যান রানা ও মুক্তি।

রানা ও মুক্তিসহ তাদের চার ভাইকে গ্রেপ্তার ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে ২২ জুলাই টাঙ্গাইল শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ। জেলা আওয়ামী লীগ ও দলটির সকল সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। বক্তরা বলেন, টাঙ্গাইলে খান পরিবার খুনি ও সন্ত্রাসী। তারা আওয়ামী লীগের কলঙ্ক।

ফারুক হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছিল। ঘটনার প্রায় বছর খানেক পরে ২ জন ছিনতাইকারী টাঙ্গাইল সদর থানায় গ্রেপ্তার হয়। তারা ফারুক হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে এমপি রানা ও পৌর মেয়র মুক্তি, হত্যাকাণ্ডের আগ্নেয় অস্ত্রও তাদের দেওয়া বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় তারা। এর পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে টাঙ্গাইল শহরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ রানা ও মুক্তিকে বহিষ্কারের সুপারিশ পাঠানোর পর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

এমপি রানা টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও মুক্তি টাঙ্গাইল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।