• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

বদলে গেলো ন্যাপ ভাসানী-এখন থেকে ন্যাপ বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ১০:৩৪ পিএম, ১৭ অক্টোবর ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯২ বার

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী মিরপুর-১০ এর বেনারশী পল্লীস্থ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ এর অস্থায়ী কেন্দ্রীয় 23কার্যালয়ে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা গতকাল বিকাল ৩.০০ টায় শুরু হয়ে রাত ৯.০০ টা পর্যন্ত চলে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাপ এর চেয়ারম্যান বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ জনাব মোঃ ফারুকুল ইসলাম।

সভায় সংগঠনের পরিচিতি ও নিবন্ধন এবং বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রম বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় দেশের চলমান রাজনীতি ও চীনের মহামান্য প্রেসিডেন্ট মি. শি জিনপিং এর সফরের বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। সভায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ক্রমাগত অবদান রাখার জন্য গনচীনের জনগন ও সরকারকে ধন্যবাদ 34জ্ঞাপন করা হয়।

মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর দূরদর্শী চীন নীতি অনুসরণ করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সভায় সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়। সভায় চীনা প্রেসিডেন্টকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।

সভায় ঐক্য ন্যাপ, তৃণমূল ন্যাপ, বাংলাদেশ ন্যাপ ও ভাসানী ন্যাপ হিসেবে পরিচিত ৭টি সংগঠনের নাম ও পরিচিতি ব্যবহার করার প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়। ২০ দলীয় জোট ত্যাগ, কোন রাজনৈতিক জোটে না থাকা ও শওকত হোসেন নিলুর নেতৃত্বাধীন ১০ দলীয় জোটে যোগদান নিয়ে দ্বন্দে ন্যাপ ভাসানী ৭টি খন্ডে বিভক্ত হয়ে সংগঠন পরিচালনা করছে মর্মে সভায় ন্যাপ নেতৃবৃন্দ বিশদভাবে আলোচনা করেছেন।

ন্যাপ ভাসানীর ৭টি খন্ডের নেতৃত্বে রয়েছেন যথাক্রমে মোঃ ফারুকুল ইসলাম, এম আখতারুজ্জামান, আব্দুল হাই সরকার, এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, মোস্তাক ভাসানী, এডভোকেট জাহাঙ্গীর ও মোহাম্মদ ইব্রাহীম। কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় জনগনকে বিভ্রান্তি হতে রক্ষা ও নির্বাচন কমিশনে সংগঠনের নিবন্ধন তরাম্বিত করা এবং ভাসানীর নীতি ও আদর্শের যথাযথ অনুসরনের জন্য এখন হতে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ সংক্ষেপে ন্যাপ-বাংলাদেশ নামে পরিচিত হবে ও তার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ন্যাপ বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের কোন রাজনৈতিক জোটের অন্তর্ভূক্ত নয়। মাওলানা ভাসানীর জীবদ্দশাতেই জনাব মোজাফ্ফর আহমদ পৃথক ন্যাপ (প্রতীক-কুঁড়ে ঘর) গঠন করায় তাকে জনগন কখনই মাওলানা ভাসানীর ন্যাপ রূপে গ্রহণ করে নি। সভায় আগামী ১৭ই নভেম্বর ২০১৬ইং তারিখে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং মজলুম জননেতার মৃত্যু বার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ন্যাপ বাংলাদেশের মহাসচিব নেয়াজ আহমদ খান, ভাইস চেয়ারম্যান এম এ খান, রেজাউল করিম, জাকারিয়া খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান, শেখ মফিজুর রহমান শিবলু, আব্দুর রশিদ মিয়া, আলমগীর হোসেন হেলাল, মোজাম্মেল হোসেন দ্বীপু, আবু বকর সিদ্দিক বাবলু প্রমূখ।