• রোববার , ৫ মে ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষীর ছেলে বিপ্লবের চেলাদের মুক্তারপুর টোল প্লাজা ভাংচুর লুটপাট


প্রকাশিত: ৬:৫৪ পিএম, ১৭ জুলাই ১৫ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩৬ বার

t---------1 এস রহমান.ঢাকা: যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেতু ভবনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত মুক্তারপুর টোল প্লাজা ভাংচুর লুটপাট হয়েছে।এ ঘটনায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষী মহিউদ্দিনের ছেলে বিপ্লবের চেলাদের অভিযুক্ত করেছেন টোলপ্লাজার কর্মকর্তা কর্মচারিরা।
দুর্বৃত্ত্বরা টোল প্লাজার ক্যাশে রক্ষিত নগদ ১৭৯০ টাকা, কম্পিউটার, আসবাবপত্রসহ মূল্যবান  সামগ্রী ভাংচুর ও লুটপাট করে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ সদর থনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে পুলিশ ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
টোল প্লাজার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) এর অপারেশনাল ডিরেক্টর জিয়াউল আহসান সরোয়ার জাতিরকন্ঠকে জানান,  বৃহস্পতিবার টোল না দেয়া নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। রাতে এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ সদর থনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সেতু ভবনের উপ সহকারি প্রকৌশলী রাজন চন্দ্র বিশ্বাস।
অপারেশনাল ডিরেক্টর জানাtttt--------2ন,  বৃহস্পতিবার টোল না দিয়ে চলে যাচ্ছিল বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষীর ছেলে বিপ্লবের চেলারা।এনিয়ে বাকবিতন্ডা হলে তারা টোল প্লাজার ক্যাশে রক্ষিত নগদ ১৭৯০ টাকা, কম্পিউটার, আসবাবপত্রসহ মূল্যবান  সামগ্রী ভাংচুর ও লুটপাট করে পালিয়ে যায়। বিপ্লবের লোকজন টোলপ্লাজার কর্মচারি মিজানুরকেও মারধর করে। ওই গাড়িটির নম্বর-ঢাকা মেট্টো-চ-১১-০৪৫৪।
টোল প্লাজায় ওই সময় কর্মরত কর্মচারি মিজানুর রহমান জানান, যে গাড়িটি টোল না দিয়ে চলে যাচ্ছিল সেটির মালিক জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষী মহিউদ্দিনের ছেলে বিপ্লবের। বিপ্লব মুন্সিগঞ্জ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি।ওই গাড়িতে ওই সময় বিপ্লবের স্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন গাড়িতে ছিল। ঘটনা সম্পর্কে জানতে বিপ্লবের সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
t---------1খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাড়িটি অবৈধ।এর ফিটনেস রয়েছে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এবং ট্যাক্স টোকেন বকেয়া ৯৬ সাল থেকে।
পরে শুক্রবার রাত ৮টায় বিপ্লবের সঙ্গে কথা বলা হয়। তিনি জাতিরকন্ঠকে বলেন, ভাই এটা নিয়ে নিউজ করার দরকার নাই।টোল প্লাজার লোকজনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।ওদিকে বিপ্লব দাবি করেছেন গাড়িটি তার নয় এবং গাড়িটি কার তাও তিনি জানেন না।
এটা নিয়ে একটা বিচার শালিস করে দিব বলে বিপ্লব নিউজ না করার পরামর্শ দেন জাতিরকন্ঠকে।তবে বিপ্লব মুক্তারপুরের অপারেশনাল ডিরেক্টরকে জানিয়েছেন, গাড়িতে তার বোন ছিল।ভুল বোঝাবুঝির কারনে ঘটনাটি ঘটেছে।
এদিকে বিপ্লবের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁর পিতা মহিউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলা হয়। তিনি জাতিরকন্ঠকে জানান, ভাই টোল প্লাজা এর আগেও ভাংচুর হয়েছে। টোল প্লাজার লোকজন আসলে ভাল না।এরা এর আগে সংসদ সদস্য মৃণালের গাড়িও আটক করেছিল।
সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, টোল প্লাজার লোকজন ওই দিন তার মেয়েকে বহনকারী গাড়িটি অনেকক্ষণ আটক করে রাখে টোল ফেরত দেয়ার জন্যে।তার মেয়ে টোল ফেরত না নিতে চাইলেও তারা নাছোড়বান্দার মত গাড়িটি আটকে রাখে। এনিয়ে জানজট বাড়তে থাকলে টোলপ্লাজা এলাকায় বহু গাড়ির লাইন পড়ে যায়।ওই সময় বিক্ষুদ্ধ লোকজন ভাংচুর করে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি ইউনূস জাতিরকন্ঠকে জানান, এ ঘটনায় একটি জিডি হয়েছে। হামলাকারীরা টাকা পয়সা নেয় নাই বলে জেনেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা বিপ্লব ও তার চেলারা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।