• শনিবার , ১৮ মে ২০২৪

ফ্ল্যাট ও প্লটের চমক আসন্ন রিহ্যাব ফেয়ারে-কামাল মাহমুদ


প্রকাশিত: ৮:০৮ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২২ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১২৫ বার

লাবণ্য চৌধুরী : এবার আসন্ন আবাসন খাতের বড় আয়োজন ‘রিহ্যাব ফেয়ারে’ থাকবে নানা চমক। এবার মধ্যবিত্তদের জন্য ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ করে দেবে রিহ্যাব। একই সঙ্গে সাশ্রয়ী দামে ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রয়েরও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে রিহ্যাব বলে জানিয়েছেন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সহসভাপতি ও স্কাইরোজ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল মাহমুদ।

দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা জানান কামাল মাহমুদ। তিনি বলেন, এবার ছোট ফ্ল্যাটের গ্রাহকরা অনেক কম দামে ফ্ল্যাট কিনতে পারবে। ছোট ফ্ল্যাট বলতে যারা এক কোটি টাকার মধ্যে ফ্ল্যাট কিনতে চায় তাদের জন্য এবার সুবর্ণ সুযোগ। আগামীতে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০% দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ, রড, সিমেন্টের দামসহ ও খাতের সঙ্গে যুক্ত প্রায় প্রতিটির দাম বেড়েছে।তাই যেসব ফ্ল্যাট আমরা আগামী বছরের মেলায় আনব সেগুলোর দাম বাড়তি থাকবে। তাই যারা তৈরি ফ্ল্যাট কিনবে এবং বুকিং দিবেন তারা সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্ল্যাট কিনতে পারবে।

আবাসন খাতে ঋণ পাওয়া নিয়ে নানা ধরনের জটিলতা সম্পর্কে কামাল মাহমুদ বলেন, আমাদের আবাসন খাতে একটি বড় সমস্যা হলো উচ্চ ব্যাংক সুদ এবং সরকারি কোনো তহবিল না থাকা। আবাসন শিল্প রক্ষার্থে অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক রি-ফাইন্যান্সিং ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন।

যাতে ক্রেতা সাধারণ চাহিদামতো ঢাকা শহরের আশেপাশে বা মিউনিসিপ্যাল এলাকার পার্শ্বে ১৫০০ বর্গফুট বা তার চেয়ে ছোট ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিতে সক্ষম হন। এ ক্ষেত্রে ডিবিএইচ, আইডিএলসি, ন্যাশনাল হাউজিং-এর মতো অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে সহজশর্তে গৃহঋণ বিতরণ করা যেতে পারে। এ ছাড়া সরকার চাইলে ফ্ল্যাটের সাইজের ওপর ভিত্তি করে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ ও স্বল্প সুদের হার নির্ধারণ করতে পারে।

এ খাতে জিরো পার্সেন্ট রিক্সাবিহীন এই হোম লোন যদি আরেকটু কম সুদে বা সরল সুদে দেয়া হয় তাহলে এ খাতের জন্য ভালো হবে। পাশাপাশি প্রজেক্ট লোন যদি সহজ শর্তে চালু করে তাহলে এ খাত অনেক এগিয়ে যাব। সরকারের কাছে আমাদের আরো দাবি হচ্ছে, লোকাস্ট হাউজিং বা নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে এখনো ফ্ল্যাট। মৌলিক চাহিদার অন্যতম বাসস্থান খাতের প্রতি যদি সরকার স্পেশালভাবে একটি বাজেট রাখে অথবা সাবসিডি দেয় তাহলে আমরা মনে করি এ খাত এগিয়ে যাবে এবং মানুষের সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে একটি আবাসন ব্যবস্থা করতে পারবে।

কারণ এখন যেসব ফ্ল্যাট তৈরি হয় সেখানে প্রচুর পরিমাণে সাইনিং মানি দিতে হয়। আর এই সাইনিং মানির কারণে আমাদের ফ্ল্যাটের দাম অনেক বেড়ে যায়।যে প্রজেক্টগুলো গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউক বরাদ্দ দিয়েছে, সে প্রজেক্টগুলো যেন দ্রুত কার্যকর হয়, এটাও আমাদের একটি দাবি। এসব প্রকল্পগুলোতে হাসপাতাল, শিক্ষা ব্যবস্থা, যাতায়াত ব্যবস্থা, শপিংমল- এগুলো থাকলে এখানে যখন আমরা আবাসন ব্যবসায়ীরা চলে আসব, সেখানে যদি আমরা ফ্ল্যাট তৈরি করি, অবশ্যই সরকারের ট্যাক্স বাড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ যত বিল্ডিং তৈরি হবে তত সংখ্যা বাড়বে। আর ফ্ল্যাট বেশি বাড়লে আরেকটু সস্তায় পাওয়া যাবে।