• রোববার , ৫ মে ২০২৪

ফুটবল খেলায় ‘ফাউল’ পরে বাড়ীতে হামলায় গুরুতর ৬


প্রকাশিত: ৩:১৮ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৮৯ বার

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : ফুটবল খেলায় ‘ফাউল’ করায় পরে বাড়ীতে হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৬ জন। মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার বিকালে শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী বাগবাড়ী গ্রামে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীনগর থানার ওসি হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরোধ হয়। বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।

অভিযোগ করা হয়েছে, পূর্বশত্রুতার জেরে জসিম মোল্লা দলবল নিয়ে প্রতিপক্ষকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এই ঘটনায় ভূক্তভোগীরা শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আহতদের ঘোলঘর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হামলার স্বীকার আবুল হোসেন মোল্লার পুত্র মো. মিলন মোল্লা বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় মামলা করেছেন। শ্রী নগর থানায় দায়ের করা মামলার নম্বর-০৩, তারিখ-৬ সেপ্টেম্বর ২০২০।

মামলার অভিযোগ পত্রে বাদী উল্লেখ করেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সড়ক নির্মাণকে কেন্দ্র করে সিরাজ উদ্দিন মোল্লা ওরফে সেরু মোল্লা, গিয়াস উদ্দিন মোল্লা ওরফে গেসু মোল্লা, মানিক মোল্লা, মিলন মোল্লা, শয়ন মোল্লা, মো. জসিম মোল্লা, লিটন শেখ, রাফি মোল্লা এবং মোসাম্মাৎ আম্বিয়া বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে স্থানীয় বালুর মাঠে ফুটবল খেলার ‘ফাউল’ কে কেন্দ্র করে বাদীর ফুফাতো ভাই কামরুল মোল্লার সঙ্গে বিবাদী মিলন মোল্লার সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়।

তখন মিলন মোল্লা কামরুল মোল্লাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি খুন করারও হুমকি দেয়। এরই ফলশ্রুতিতে ৫ সেপ্টেম্বর বিকালে মামলায় এজাহারে উল্লেখিত বিবাদীরা দা, রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাদীর বাড়িতে হামলা করে বাদীর বাবাকে দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় তারা বাদীর মা রাজিয়া বেগম, ফুফু শাহিদা বেগমকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন। এমনকি তারা ওই মহিলা দুজনে শ্লীলতাহানী করেও বলেও মামলায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এসময় বাদীর মামা দুলাল দেওয়ান, বন্ধু শ্যামল ও কামরুল মোল্লাকেও পিটিয় ও কুপিয়ে জখম করেন। এই ঘটনার সময় বাদী পক্ষের লোকজনের আত্মচিকিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও জখম করা হয়। এসময় আহত হন নুরু মোল্লা ও রাব্বি দেওয়ান।বাদী পক্ষ আরো অভিযোগ করেন এই সন্ত্রাসী হামলার সময় প্রতিপক্ষের মোসাম্মাৎ আম্বিয়া বেগম বাদী মো. মিলন মোল্লার মায়ের গলা থেকে স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় মসজিদের মুসল্লিরা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ঘোলঘর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এরমধ্যে বাদীর বাবা আবুল হোসেন মোল্লার অবস্থা গুরুতর। তারা মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপে গভীর ক্ষত হয়েছে। রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে চিকিৎসরা তারা শরীরে ২৭ টি সেলাই দিয়েছেন।