• শুক্রবার , ৩ মে ২০২৪

“ধর্ষণ আসলে না পাওয়া পুরুষদের একধরনের বিকারগ্রস্ততার সুখ”


প্রকাশিত: ১২:১৫ পিএম, ৫ জুলাই ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২২০ বার

1111111111111হেলেনা জাহাঙ্গীর হেলেন : কোনো মেয়ে ভালো ফলাফল করলে তখন বলা হয়, তুমি সুন্দরী তাই মার্কস পেয়েছ। কোনো মেয়ে ভালো চাকরি পেলে বলা হয়, বস তোমার প্রতি দুর্বল। মেয়েদের যোগ্যতাকে ‘যোগ্যতা’ হিসেবে দেখতে পুরুষের কোথায় যেন বাধা। আমাকেও অনেকে বলেন, আপা, আপনি তো দেখতে সুন্দরী তাই কাজটা সহজে হয়ে গেল। আমি যে নারী উদ্যোক্তা, এটা মেনে নিতে অনেকের কষ্ট হয়। আমার যে এক জীবনের শ্রম, মেধা, ঘাম প্রতিটি কাজের পেছনে রয়েছে তা স্বীকার করতে কেমন যেন অসম্মতি অনেকের। নারীর এগিয়ে যাওয়া অনেকে স্বীকার করতে চায় না। শুধু তাই নয়, বাধা দিতে চায়। পেছনে টেনে ধরতে চায়। প্রতিটি সফল নারীর পেছনে এক বা একাধিক ‘কুৎসিত’, ‘অশ্লীল’ গল্প থাকে। এই গল্পগুলোর সত্যতা নেই কিন্তু প্রচার আছে।

ধর্ষণ এক ধরনের আক্রোশ, যা পুরুষেরা নারীর বিরুদ্ধে করে থাকে। ধর্ষণ যতটা না যৌন তার চেয়ে বেশি অযৌন। ধর্ষণের পুরুষেরা যতটা না যৌন সুখ পায় তার চেয়ে বেশি পায় আক্রমণের সুখ। এই আক্রমণ নারীকে অসম্মানের আক্রমণ। যেহেতু ধর্ষণ নারীকে অসম্মানিত করে তাই পুরুষেরা এটি করতে খুব সুখ বোধ করে। এই সুখটা সুস্থতা নয়, পুরুষের অসুস্থতা। নারীর প্রতি যে অসম্মান অবজ্ঞা সেটাই ধর্ষণের মূল কারণ।
দলগতভাবে, চলন্ত বাসে, চলন্ত ট্রেনে, শ্রেণি কে নারীকে নানাভাবে ধর্ষণের মধ্য দিয়ে পুরুষ তার মতা প্রদর্শন করতে চায়। নারী মতাবান হয়ে উঠলে পুরুষের সেটি তখন ভালো লাগে না। কোনো না কোনোভাবে নারী হেনস্থা হলে ‘নারীকে অসম্মান করতে পারলাম’Ñ এই ভেবে এক শ্রেণির পুরুষ সুখ বোধ করে। সুস্থ পুরুষেরা প্রেম করে, ভালোবাসে কখনোই ধর্ষণ করে না নারীকে। ধর্ষণের মধ্য দিয়ে নারী কেন, কিছুই পাওয়া যায় না। ধর্ষণ আসলে না পাওয়া পুরুষদের একধরনের বিকারগ্রস্ততার সুখ।