• রোববার , ৫ মে ২০২৪

টিনটিন ও রিকি অপহরণ-দেড় লাখ ডলার দাবি


প্রকাশিত: ১১:০৪ পিএম, ১৮ এপ্রিল ১৪ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৫ বার

 

 

রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :

আপডেট: ২০:৫৩, এপ্রিল ১৮, ২০১৪

রাঙামাটির সংগীতশিল্পী সৌরভ চাকমা ওরফে টিনটিন ও রিকি চাকমা নামের দুই যুবককে অপহরণ করা হয়েছে। গত সোমবার বেলা তিনটা থেকে চারটার দিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের কেঙেলছড়ি এলাকা থেকে তাঁদের অপহরণ করা হয়।

সৌরভ চাকমার মুক্তির বিনিময়ে দেড় লাখ আমেরিকান ডলার বা সমপরিমাণ টাকা দাবি করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে কে বা কারা অপহরণের সঙ্গে জড়িত, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা। অপহূত সৌরভ চাকমা বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী সুজিত চাকমার ছেলে ও সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তুষার কান্তি চাকমার জামাতা।
আজ শুক্রবার সৌরভ চাকমার পরিবারের কয়েকজন সদস্য জানান, বিষয়টি প্রথমে বুঝতে না পেরে তাঁরা কোনো সংবাদমাধ্যমকে জানাননি। বৃহস্পতিবার রাতে একটি অপরিচিত মুঠোফোন নম্বর থেকে ফোন করে সৌরভের

মুক্তির ব্যাপারে দেড় লাখ ডলার অথবা সমপরিমাণের টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। এর পরও কয়েকবার ফোন করা হয় বিভিন্ন নম্বর থেকে। আজ দুপুরে ফোন করে একই অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা বলেন, কারা সৌরভকে অপহরণ করেছে আমরা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নই। তবে সৌরভকে রূপেন্দু চাকমা নামে এক যুবক রাঙামাটিতে আসার ব্যাপারে খাগড়াছড়িতে একটি অটোরিকশা ভাড়া করে দিয়েছেন। দুই দিন ধরে রূপেন্দু চাকমার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে তাঁরা জানান।
সৌরভ চাকমার পারিবারিক সূত্রের অভিযোগ, গত সোমবার সৌরভ চাকমা তাঁর বন্ধু রিকি বিজু উত্সব উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে যান। ওই দিন বেলা তিনটার দিকে সৌরভ ও রিকিকে রাঙামাটিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রূপেন্দু চাকমা একটি অটোরিকশা ঠিক করে দেন। ওই অটোরিকশাটি বেলা তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে কেঙেলছড়ি এলাকায় পৌঁছালে একদল অস্ত্রধারী আদিবাসী যুবক তাঁদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অটোরিকশাচালক উদয়ন চাকমা খাগড়াছড়ি সদরে ফিরে যান।
উদয়ন চাকমার স্ত্রী রূপনা চাকমা অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন উদয়ন চাকমা বিঝু উত্সব উপলক্ষে সকাল আটটায় বের হন। এ সময় তাঁর কয়েকজন বন্ধু তাঁকে খুঁজতে আসেন। পরে শুনেছেন উদয়ন ভাড়ায় কয়েকজন যাত্রীকে নিয়ে রাঙামাটি যাওয়ার পথে যাত্রীরা অপহূত হয়েছেন। আর সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদয়নকে ধরে নিয়ে গেছেন। এর বেশি তিনি আর কিছু জানেন না।
সেনাবাহিনীর খাগড়ছড়ি রিজিয়নের জি-২ আই মেজর মনির সৌরভ চাকমা ও তাঁর বন্ধু অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করেন। অপহরণকারীদের শনাক্ত করতে পেরেছেন কি না, তা জানতে উদয়ন চাকমাকে ঘটনাস্থলে নেওয়া হয়েছে। তিনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার ব্যাপারে গত মঙ্গলবার মামলা হয়েছে। মামলায় অটোরিকশাচালক উদয়ন চাকমাও একজন সন্দেহভাজন। তাই তাঁকে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তাঁদের (পুলিশ) হেফাজতে রাখা হয়েছে। অপহূতদের উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে যৌথ বাহিনীর তল্লাশি অভিযান চলছে।