• শনিবার , ৪ মে ২০২৪

জয় হত্যাচেষ্টা-শফিক মাহমুদুরের জেল


প্রকাশিত: ৩:০৫ এএম, ১৮ আগস্ট ২৩ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৫ বার

কোর্ট রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ ৫ জনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন, জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া।

জয়কে অপহরণের চক্রান্তের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৭ ও ১২০ (বি) ধারায় ঢাকার পল্টন থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়েছে, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার একত্রিত হয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

২০১৬ সালের এপ্রিলে শফিক রেহমানকে তার ইস্কাটনের বাসা থেকে গ্রেফতারের পর ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সে সময় দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। পাঁচ মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান শফিক রেহমান। পরে তিনি যুক্তরাজ্য চলে যান।

এ মামলার অপর আসামি খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলায় ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল ঢাকার কারওয়ান বাজারে আমার দেশ কার্যালয় থেকে গ্রেফতার হন। পরে কারাবান্দি অবস্থায় ২০১৬ সালের এপ্রিলে তাকে জয়কে অপহরণ ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। সাড়ে তিন বছর জেলে থাকার পর ২০১৬ সালের নভেম্বরে মাহমুদুর রহমান জামিনে মুক্তি পান। পরে তিনিও দেশের বাইরে চলে যান।
তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

প্রসঙ্গত, নিউইয়র্কে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহল থেকে জানানো হয়েছে। সেখানে এরইমধ্যে এই সংক্রান্ত একটি মামলার বিচার হয়েছে। মামলার রায়ে সেখানকার বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের ৪২ মাসের কারাদণ্ড হয়। এছাড়া ঘুষ লেনদেনের জন্য এফবিআইয়ের এক এজেন্টের বন্ধুর ৩০ মাসের কারাদণ্ড হয়।

পি—১—–৪/সি——-ছবি——-

প্রাথমিকভাবে প্রগতি সুরক্ষা সমতা ও প্রবাসী উদ্বোধন

সর্বজনিন পেনশন
চালু করল প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকলের আরও ভালো ও একটি উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হলো। এই ব্যবস্থার লক্ষ্য হলো দেশের ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের এর আওতায় নিয়ে আসা।আজ বৃহস্পতিবার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পেনশন স্কিম চালু করেছি যাতে দেশের প্রতিটি মানুষ একটি উন্নত জীবনযাপন করতে পারে। প্রাথমিকভাবে ছয়টির মধ্যে চারটি স্কিম প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা এবং প্রবাসী উদ্বোধন করা হয়েছে এবং অন্য দুটি পরে চালু করা হবে।তিনি বলেন, তাঁর এবং আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসাই দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার চালিকাশক্তি। আগামী দিনেও আমার প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অব্যাহত রাখার জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকে অনুরোধ করছি।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য ছিল দেশবাসীকে একটি উন্নত জীবন উপহার দেওয়া, যার জন্য তিনি তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমরা শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছি। জনগণকে একটি সুন্দর ও উন্নত জীবন দেওয়ার আমাদের প্রচেষ্টা দেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতার আত্মা শান্তি পাবে।

প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক দেশবাসীর জীবনকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্যে জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছেন।তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষকে আরও ভালো ও উন্নত জীবন দিতে ব্যর্থ হলে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া দেশের স্বাধীনতা বৃথা যাবে।আমরা দেশের স্বাধীনতাকে ব্যর্থ হতে দেব না, এটি ব্যর্থ হবে না এবং এটি ব্যর্থ হয়নি। তাঁর (বঙ্গবন্ধুর) আদর্শ অনুসরণ করে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা বজায় রেখে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের দিকে অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
সরকার প্রধান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুবিধাভোগি তিনটি জেলা-গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও রংপুরে মত বিনিময় করেন এবং সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেলও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইভেন্টে যুক্ত হন।

প্রগতি স্কিমটি বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য, স্ব-কর্মে নিযুক্ত লোকদের জন্য সুরক্ষা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সমতা প্রযোজ্য হবে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মূল লক্ষ্য দেশের ১৮ বছরের বেশি বয়সী সকলকে এর আওতায় আনা এবং তারা তাদের ৬০ বছর বয়স হওয়ার পরে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন।
পেনশন ব্যবস্থার বয়সসীমা প্রাথমিকভাবে ৫০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছিল কিন্তু পরে তা সংশোধন করা হয়। ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও টানা ১০ বছর ধরে কিস্তি পরিশোধের পরে পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আবদুর রউফ তালুকদার।প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।অনুষ্ঠানে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

পি—-১৬———৪/সি——ছবি—–

পরিস্থিতি ঘোলাটের
চেষ্ঠা করছে ১টি সংগঠন

ডিএমপি কমিশনারের হুশিয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার : একটি সংগঠন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলা করার জন্য চেষ্টা করেছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যা যা করা দরকার আমরা করব। নির্বাচনী মাঠ ঘোলা করার জন্য অনেক শক্তি মাঠে নামবে, আইনশৃঙ্খলা অবনতি করার চেষ্টা করবে। তবে এই চেষ্টা কেউ করলে বাংলাদেশ পুলিশ কঠোর হস্তে দমন করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর সবুজবাগে ‘স্বস্তি’ প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, তিন চারদিন আগেও জামায়াতের একজন শীর্ষ নেতার হার্ট অ্যাটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ নিয়ে একটি মহল আইনশৃঙ্খলা ঘোলা করার জন্য চেষ্টা করছিল, কিন্তু সেটি সফল হয়নি।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ১৭ আগস্টের আজকের এই দিনে সারা দেশের ৬৩ জেলায় জঙ্গিরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে জঙ্গিরা জানান দিয়েছিল বাংলাদেশ একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। যারা তখন ক্ষমতায় ছিল আমি বলব তাদের মদতে বাংলাদেশ জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছিল। বাংলাদেশ পুলিশ ও জনগণ জঙ্গি রাষ্ট্র হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত রক্ষা করে চলেছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল সুবিধা নিয়ে জঙ্গিরাও সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছে, তারা এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। ডিজিটালের ফলে মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করছে তারা। তবে পুলিশ তাদের থেকে পিছিয়ে থাকতে পারে না। অপরাধীরা ডালে ডালে চললে আমাদের পাতায় পাতায় চলতে হবে।