• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

জয়ার ফেরেশতে জিতল ইরানের জাতীয় পুরস্কার


প্রকাশিত: ৮:৪৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৬ বার

বিনোদন রিপোর্টার : এবার ইরানের জাতীয় পুরস্কার জিতে নয়া সাফল্যের স্বাক্ষর রাখলো জয়া আহসানের ‘ফেরেশতে’। ইরানের জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এই পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র তারকা হয়ে ওঠার পথে হাঁটছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তার ঝুলিতে রয়েছে বাংলাদেশের একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ভারতের ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা।মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ইরানের জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার খবরটি নিজেই নিশ্চিত করেছেন জয়া আহসান।

নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দেওয়া পোস্টে জয়া লেখেন – ফেরেশতে’ চলচ্চিত্রটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ইরানের জাতীয় পুরস্কার জিতেছে। প্রতিবছর ফজর চলচ্চিত্র উৎসবের পর, মানবাধিকার, শিক্ষা, পরিবেশ, দাতব্য কাজ ইত্যাদি বিভাগে ‘জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন/বহিঃপ্রকাশ’ নামে সমাজের জন্য অনুকরণীয় চলচ্চিত্রগুলোকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।

তিনি আরও লেখেন, এই পুরস্কারটি ‘খয়র-ই-মান্দেগার’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রদান করা হয়, যা ইরানের সমস্ত দাতব্য প্রতিষ্ঠান, দাতা, এনজিওর প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রতিষ্ঠানটি ইরানে ইউনিসেফের মতো সক্রিয়।এই পুরস্কারের পাশাপাশি, ‘ফেরেশতে’ চলচ্চিত্রের প্রধান দুই অভিনেতা জয়া আহসান ও সুমন ফারুককে ‘খয়র-ই-মান্দেগার’ স্মারক প্রদান করে সম্মানিত করা হয়।,

‘ফেরেশতে’ চলচ্চিত্রের অভিনেতাদের দেয়া স্মারকে উল্লেখ ছিল: ‘শিল্পের মাধ্যমে দানশীলতা দেখানো জীবনের সবচেয়ে সুন্দর চিত্র, যা কখনও কখনও মানুষকে তার নিজের প্রকৃতির মহাসাগরের গভীরে টেনে নিয়ে যায় যাতে তার অস্তিত্বের মুক্তা শিকার করতে পারে। ‘ফেরেশতে’ চলচ্চিত্রটি ভালোবাসা এবং শিল্পের এক অসাধারণ মিশ্রণ, যেখানে আপনি প্রতিটি মুহূর্তে দয়ার উজ্জ্বল আভা দেখতে পাবেন। (খয়র-ই-মান্দেগার দাতব্য সংস্কৃতি কেন্দ্র) এই চিরন্তন কাজে ভূমিকা রাখার জন্য ৪২তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন/বহিঃপ্রকাশ’ বিভাগে দাতব্য দৃষ্টিকোণ থেকে সেরা কাজের জন্য আপনাকে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ইরানি বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের চলচ্চিত্রগুলোর পাশাপাশি ‘ফেরেশতে’ চলচ্চিত্রটি ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান বিভাগের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে জনগণ, সংবাদপত্র এবং সমালোচকদের দ্বারা সমাদৃত হয়েছিল।