• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

জঙ্গি কানেকশন নিয়ে নিখোঁজ তরুণী থানায় হাজির নিয়েও রহস্য


প্রকাশিত: ১:২৮ পিএম, ২০ জুলাই ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪১ বার

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি  :  জঙ্গি কানেকশন নিয়ে নিখোঁজ তরুণী থানায় হাজির নিয়েও রহস্য সৃষ্ঠি হয়েছে। jongi-srinogor-www.jatirkhantha.com.bdপুলিশ  বলেছে, নিখোঁজ তরুণী থানায় হাজির হলো তাকে আটক করা হয়েছে। এর আগে তার জঙ্গি সম্পৃক্ততা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল পরিবার।

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক মাস ধরে নিখোঁজ এই কলেজছাত্রীর জঙ্গি কানেকশন নিয়ে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। কয়েকদিন আগে ওই ছাত্রী তার পরিবারের লোকজনকে ফোনে জানায়, সে পবিত্র স্থানে রয়েছে এবং ভালো আছে। তাকে খোঁজাখুঁজি করে লাভ নেই।

মঙ্গলবার সকালে সরকারি শ্রীনগর কলেজের একাদশ শ্রেণীর নিখোঁজ ছাত্রী নুরুন নাহার ইরার বাবা ইয়াকুব আলী ও মা শামীমা বেগম কয়েকটি টিভি চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিকদের কাছে শংকা প্রকাশ করে বলেন, তাদের মেয়ে বিদেশে জঙ্গি মিশনে যেতেই বাড়ি ছেড়েছে।তারা জানায়, ফোনকলের পর তাদের এ ধারণা আরও পোক্ত হয়। তাছাড়া নিখোঁজের কিছু দিন আগে সে বাড়িতে ধর্মীয় বই আনা শুরু করে এবং হঠাৎ করে বোরকা পরিধান শুরু করে।

গত ১৯ জুন নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি ইরা। এর ২০ দিন পর গত ১০ জুলাই তার মা শামীমা আক্তার শ্রীনগর থানায় একটি জিডি করেন। থানায় জিডি করার পর পুলিশ তাদের বাসা থেকে দুটি ধর্মীয় বই উদ্ধার করে। তবে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহিদুর রহমান জানান এগুলো সাধারণ ধর্মীয় বই।

ইরার বাবা জানান, সমষপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি পাস করে ইরা। এরপর সে শ্রীনগর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়। তার দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই তার মেয়ে হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায়। কলেজে যাওয়ার কথা বলেই ওই দিন বাড়ি থেকে বের হয়েছিল ইরা। এর পর সে আর ফেরেনি। ইরার পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া একটি ছবির সূত্র ধরে মাঠে নামে পুলিশ। ছবিতে দাড়িওয়ালা এক যুবকের সঙ্গে ইরা ও তার আরো দুই বান্ধবী রয়েছে।

ওই যুবকের সন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায় তার নাম সিরাজুল ইসলাম নয়ন (৩৫)। সে পাবনার বর্জনাথপুর গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে। সিরাজুল ইসলাম বর্তমানে সমষপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ফজলুল হক হান্নুর মালিকানাধীন ঢাকার গুলশান-২ এর ৭২ নম্বর সড়কের ১৫ নং বাড়িতে অবস্থিত আহামেদ গ্রুপের কর্মকর্তা।

নয়নকে ২০১৫ সালে ওই স্কুলের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। ওই বছর এএসসি পরীক্ষার আসে তিনি ইরাসহ আরও কয়েকজনের গাইড হিসাবে তিন মাস নিযুক্ত ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ নয়নকে শ্রীনগর থানায় হাজির করার জন্য আহমেদ গ্রুপের কর্ণধারকে অনুরোধ করলে তাকে ওই প্রতিষ্ঠানের একটি গাড়িতে করে তার কয়েকজন সহকর্মীসহ গুলশান থেকে শ্রীনগর পাঠানো হয়।

নয়ন থানায় পৌঁছানোর আধঘণ্টা আগে ইরা স্বেচ্ছায় থানায় এসে হাজির হয় এবং তার জন্য অন্য কাউকে হয়রানি না করতে বলে। শ্রীনগর থানার ওসি সাহিদুর রহমান জানান, ওই কলেজ ছাত্রী এই এক মাস কোথায় ছিল এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।