• শুক্রবার , ১৭ মে ২০২৪

ছাত্রলীগের দুমুখো শাপ-অস্ত্রধারী বহিষ্কৃত সাব্বির-আশিকুরের বিরুদ্ধে মামলা


প্রকাশিত: ২:০২ পিএম, ১ নভেম্বর ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৮ বার

গুলিস্তানে ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় অস্ত্র হাতে হকারদের ধাওয়া করেন সাব্বির হোসেন (বাঁয়ে) এবং আশিকুর রহমান
গুলিস্তানে ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় অস্ত্র হাতে হকারদের ধাওয়া করেন সাব্বির হোসেন (বাঁয়ে) এবং আশিকুর

বিশেষ প্রতিনিধি  :  অবশেষে ছাত্রলীগের বহিস্কৃত দুই ছাত্রনেতা সাব্বির হোসেন এবং আশিকুর রহমান বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এরা গুলিস্তানে ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় অস্ত্র হাতে হকারদের ধাওয়া করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ছবিতে সাব্বির হোসেন (বাঁয়ে) এবং আশিকুর রহমানকে দেখা যাচ্ছে। হকারদের অভিযোগ এরা দুমুখো শাপ। ভুক্তভোগী হকাররা জাতিরকন্ঠকে জানান, এরা হকারদের টাকা খেয়ে আবার তাদের বিরুদ্ধেই মাঠে নেমেছিল।

পুলিশ জানায়, সংগঠন থেকে সদ্য বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন ও ওয়ারী থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, মামলাটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে হয়েছে। শাহবাগ থানার পুলিশ বলছে, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি হয়েছে।

গত ২৭ অক্টোবর গুলিস্তান এলাকায় সড়ক ও ফুটপাত থেকে পাঁচ শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এই উচ্ছেদের সময় ডিএসসিসির কর্মচারী ও একদল যুবকের সঙ্গে ওই এলাকার হকারদের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে ওই যুবকদের মধ্যে সাব্বির হোসেন ও আশিকুর রহমানকে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সংগঠন থেকে তাঁদের বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

আজ দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই দুজনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলাটি হয়েছে।

শাহবাগ থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হত্যাচেষ্টার অভিযোগ মামলাটি হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার না হলে সাধারণত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয় না। উচ্ছেদ নিয়ে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় এর আগে গতকাল রাতে এক হকার বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।