• শুক্রবার , ১৭ মে ২০২৪

খালেদা জিয়ার অবস্থা এই ভালো এই খারাপ


প্রকাশিত: ২:১২ এএম, ১৫ জুন ২৩ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৬ বার

স্টাফ রিপোর্টার :   খালেদা জিয়ার অবস্থা এই ভালো এই খারাপ, তবে এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, যে শারীরিক অবস্থা নিয়ে তিনি (খালেদা জিয়া) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, ওই দিনের মতোই এখন পর্যন্ত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল আছে।জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে আছেন। বোর্ডের সদস্যরা সার্বক্ষণিকভাবে ওনার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। তাঁরা ওনার শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় যেসব চিকিৎসা দরকার হচ্ছে, সেটা ওনারা ব্যবস্থা করছেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এই চিকিৎসক জানান, মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়েদা রহমান ও দেশের বাইরের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও অংশ নিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমানের স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি সার্বক্ষণিক খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর রাখছেন বলে জানান অধ্যাপক জাহিদ।চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের সকল সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেখেন। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টসমূহ পর্যালোচনা করে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। বুধবার বিকালে আবারও বৈঠকে বসবে মেডিকেল বোর্ড।

চিকিৎসকেরা জানান, বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্তমানে যে চিকিৎসা চলছে, সেটা চলবে। এ ছাড়া কিছু নতুন ঔষধপত্র যোগ করেছেন তারা।দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা, লিভারের রোগ, হৃদরোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গত সোমবার রাতে গুলশানের বাসা ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গত ২৯ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পাঁচ দিন পর তিনি মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফেরেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা।