• রোববার , ৫ মে ২০২৪

কাদের ইশারায় মাতছে বরিশাল ডিবি!


প্রকাশিত: ৮:১১ পিএম, ২০ মার্চ ১৮ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৫ বার

 

বরিশাল প্রতিনিধি :  কাদের ইশারায় মাতছে বরিশাল ডিবি! বরিশালে সংবাদকর্মীকে নির্যাতন, ৮ পুলিশ বরখাস্ত করাটাই সঠিক সমাধান নয় বলে দাবি করেছেন একাধিক borishal db-www.jatirkhantha.com.bdগনমাধ্যম এর বিশিষ্ট জনরা। তাঁরা বলেছেন, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তাদের কর্তৃত্বের একটা লাগাম থাকা দরকার। তানাহলে কতিপয় অসাধু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা ও কর্মীদের জন্যে সরকারের ভাবমূর্তি বার বার নষ্ঠ হচ্ছে কেন।

অভিযোগ রয়েছে, এই চক্রটি আসন্ন নির্বাচনে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে মহলবিশেষের প্ররোচণায় কাজ করছে। যে মহলটি সরকারের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকে ঘৃণ্য রাজনীতির খেলায় মেতে আছে।ডিবি পুলিশ  তাদের ক্রিড়নক কিনা তাও তদন্ত করা দরকার। তাহলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে!

এদিকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি’র বরিশালের ক্যামেরাপাসন সুমন হাসানকে মারধরের ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের ৮ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-কমিশনার (ডিসি) উত্তম কুমার পালকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।মহানগর পুলিশের কমিশনার এসএম রুহুল আমীন সোমবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, ১৩ মার্চ সুমন হাসানকে মারধরের অভিযোগ ওঠার পরপরই গোয়েন্দা পুলিশের ৮ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লার নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের দেওয়া প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৪ মার্চ কনস্টেবল মাসুদুল হক, ১৫ মার্চ কনস্টেবল চৌধুরী রাসেল পারভেজ ও আ. রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পরে পর্যালোচনা করে ১৮ মার্চ আরও ৫ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে তিনি জানান।

বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই আবুল বাশার, এএসআই মো. আক্তারুজ্জামান, এএসআই স্বপন চন্দ্র দে, কনস্টেবল আ. রহিম, কাজী সাইফুল ইসলাম, চৌধুরী রাসেল পারভেজ, হাসান মাহমুদ ও মাসুদুর হক।গত মঙ্গলবার দুপুরে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম মাদক উদ্ধারে নগরীর বিউটি সিনেমা হল এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ জাহিদ নামে একজনকে আটক করে। তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ডিবিসি’র ক্যামেরাপারসন সুমন হাসানের বড় ভাইয়ের ছেলে আজিজুর রহমান মাদক ব্যবসায় জড়িত বলে পুলিশকে জানান।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সুমন হাসান আটক জাহিদকে চড় মারেন। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সদস্যরা সুমনকে মারধর করেন। সুমন পরিচয়পত্র দেখানোর পর তার ওপর নির্যাতন আরও বেড়ে যায়।মারধরের এক পর্যায়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। কোমরের বেল্ট খুলে তার গলায় পেচিয়ে ফাঁস দেয় এবং অণ্ডকোষ চেপে ধরলে সুমন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।এরপর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জ্ঞান ফিরলে আবারও সুমনের ওপর নির্যাতন চালায় পুলিশ। খবর পেয়ে সুমনের সহকর্মীরা ডিবি কার্যালয় গিয়ে তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সুমন শেরে-ই-বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।