• শনিবার , ১৮ মে ২০২৪

এবার ভর্তি বানিজ্য ধরবে দুদক-তথ্য দিতে ১৫ স্কুল-কলেজে চিঠি


প্রকাশিত: ২:৫২ এএম, ৯ জানুয়ারী ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৬ বার

dd

বিশেষ প্রতিনিধি  :  রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন, মনিপুর, সেন্ট জোসেফ ও রাজউক উত্তরা স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ ১৫টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে ভর্তি বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগে নোটিস পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর স্বাক্ষর করা নোটিসটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়।

নোটিসে আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে চাহিদা ও ছক অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত দুদককে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন শ্রেণিতে কয়টি শূন্য আসন রয়েছে, শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির পদ্ধতি ও নীতিমালায় কী বলা আছে তা জানতে চেয়েছে দুদক।

এ ছাড়া চলতি বছর ভর্তির জন্য আসন সংখ্যা কত, সরকারি নীতীমালায় কী বলা আছে, ভর্তির ক্ষেত্রে কোন শ্রেণিতে কত টাকা নেয়া যাবে এবং আর ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো কত টাকা করে নিচ্ছে- এ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করতে বলা হয়েছে নোটিসে।

নোটিসপ্রাপ্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, অগ্রণী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়, সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হলিক্রস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মণিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ এবং রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

দুদক সূত্র মতে, রাজধানীর নামিদামি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি–বাণিজ্য সম্পর্কিত বেশ কিছু অভিযোগ দুদকে জমা পড়েছে। ওই সব অভিযোগ যাচাই–বাছাই করা হয়েছে। পরে এই অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। একই সঙ্গে দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়।

টিমের প্রধান পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী ১২ জানুয়ারির মাধ্যে তথ্য-উপাত্ত চেয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে নোটিস পাঠিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যে সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান সঠিক তথ্য-উপাত্ত না দেবে, কিংবা মিথ্যা তথ্য দেবে কিংবা তথ্য গোপন করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।