• রোববার , ৫ মে ২০২৪

এক আমলাকে রাষ্ট্রপতি বানাচ্ছে সরকার: ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী


প্রকাশিত: ৮:৪৭ পিএম, ৭ জানুয়ারী ২৩ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৩ বার

স্টাফ রিপোর্টার : সরকার একজন আমলাকে রাষ্ট্রপতি বানানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ফেলানী হত্যা দিবস উপলক্ষে ‘সীমান্তে বিএসএফের গুলি থামবে কবে’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করে আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার প্রতারণা করছেন। অনেকে বলতে পারে এর প্রমাণ কি। প্রমাণটা খুব সোজা, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এ রাষ্ট্রপতি মৃদুভাষি, মুক্তিযোদ্ধা ও আমলা। দীর্ঘদিন সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত এ আমলাকে (যে আমলাকে রাষ্ট্রপতি করা হবে) যদি রাষ্ট্রপতি বানানো হয়, তাহলে তিনি সহজে টেলিফোনের মাধ্যমে সব ডিসি সাহেব থেকে শুরু করে ওসি সাহেব পর্যন্ত তিনি সহজে যোগাযোগ করতে পারবে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, একজন রাজনীতিবিদের কিছুটা হলেও বিবেক থাকে কিন্তু আমলাদের কোনো বিবেক থাকে না। তারা সরকারের দালালি করে বেঁচে থাকেন। এর মাধ্যমে তারা সচিব থেকে সিনিয়র সচিব হয় এবং এর পরে তারা আইএমএফে যায়। সুতরাং এ লাভের আশায় আমলারা সরকারের খাদেমদারি করতে থাকে। আর এসব ব্যক্তিই হবে রাষ্ট্রপতি!

তিনি বলেন, একটা নিয়ম আছে সরকারি বেতন ভাতা নিয়ে কেউ তিন বছরের মধ্যে রাজনীতিতে আসতে পারবেন না। কিন্তু এইচ টি ইমাম সাহেব মারা গেছেন তার জায়গায় এমন একজনকে নিয়োগ দিচ্ছেন যিনি কয়েক দিন আগেও কেবিনেট সেক্রেটারি ছিলেন। যিনি চাইলেই যেকোনো সেক্রেটারি এবং ওসি সাহেবদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন।

সুতরাং এটাই প্রমাণিত করে সরকার নির্বাচন নিয়ে একটা ভয়ানক পরিকল্পনা করছেন।তিনি বলেন, এবার আর দিনের ভোট রাতে হবে না। ভোর বেলায় ৬০-৭০ ভাগ ভোট হবে ওসি সাবেরদের ও আমলাদের দিয়ে। বাকি ৩০ ভাগ হবে সকাল নয়টার পর। এইটা কি আমরা মেনে নিতে পারি। এর বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।

ফেলানী হত্যার প্রতিবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের সামনের রাস্তাটি ফেলানীর নামে নামকরণের জন্য ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। একই সঙ্গে লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে ভারতে পাঠানোরও সুপারিশ করেন তিনি।সভায় সভাপতিত্ব করেন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। এতে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান হায়দার।