২০কোটি টাকা হজম করে শহিদুল লালঘরে
বিশেষ প্রতিনিধি : ২০কোটি টাকা হজমকারী সেই ক্রিমিনাল শহিদুল পাকরাও হয়েছে।
দেশের চারটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ২০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করার অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম হাওলাদার। মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি’র ঢাকা মেট্টোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
তিনি জানান, শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ঢাকা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া ও প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়ে আর ফেরত দেননি। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার নামে মামলা করে। দু’টি মামলায় তার সাজা হয়েছে। সাজা মাথায় নিয়ে তিনি গত ২ বছর ধরে পলাতক ছিলেন।
সিআইডি জানায়, তাকে গ্রেফতারে সিআইডি দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের নেতৃত্বে সিআইডির একটি টিম ঋণ জালিয়াতির মূল হোতা শহিদুল ইসলাম হাওলাদারকে পুরানা পল্টন থেকে গ্রেফতার করে। আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঋণের অর্থ আত্মসাৎ করার বিষয়টি স্বীকার করেন।
সিআইডি আরও জানায়, শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে দু’টি ব্যাংক মামলা করেছে। একটি মামলায় আদালত তাকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে। অপর মামলায়ও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ কোটি টাকা অর্থ দণ্ড প্রদান করে আদালত। এরপর ২০১৯ সাল থেকে শহিদুল সাজা মাথায় নিয়ে পলাতক ছিলেন। শহিদুল ইসলাম হাওলাদার মাদারীপুর কালকিনী থানার মোর্শেদাবাগের পশ্চিম কমলাপুরের মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে। তিনি ভাটারা থানার ৪৯/১ প্রগতি সরণি, বারিধারার মেসার্স হাওলাদার কারস এর সত্ত্বাধিকারী।