• বুধবার , ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

হেফাজতের সাথে আপোষ হিতে বিপরীত হবে-মেনন


প্রকাশিত: ৩:৩৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭০ বার

ডেস্ক রিপোর্টার :  সুপ্রীম কোর্টের সামনের ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার হেফাজতের দাবির সাথে সহমত Hasina-hefajot-www.jatirkhantha.com.bdপোষণ করা, কওমী মাদ্রাসাকে শর্তহীনভাবে স্বীকৃতি দেয়া ও পহেলা Menon.www.jatirkhantha.com.bdবৈশাখকেন্দ্রীক ঘটনাবলী এবং এর আগে পাঠ্যপুস্তক সংশোধনসহ বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে- যা ধর্ম নিয়ে রাজনীতির অপর নাম হিসেবেই বিবেচনা করা বাঞ্ছনীয়।

ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি এবং এই শক্তির সাথে আপোষ যারা করছেন ‘নিছক ভোটের রাজনৈতিক কূটকৌশল হিসেবে’ – তারা সুস্থ উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতির বিপক্ষের শক্তি।

হেফাজতে ইসলামের সাথে আপোষ এবং তাদের দাবিসমূহ মেনে নেয়া প্রশ্নে মন্ত্রী এবং ১৪ দলের অন্যতম শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘ধর্ম নিয়ে জঙ্গীবাদী গোষ্ঠী গোপনে যা করছে, হেফাজতে ইসলাম ধর্ম নিয়ে প্রকাশ্যে সে কাজগুলোই করে যাচ্ছে।

হেফাজত ধর্ম নিয়ে টানাটানির বিষয়কে নিজেদের বলয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে না, তারা এটাকে hhএকটি রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করে। আমি মনে করি- এই রাজনীতির বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই ছিল এবং এখনো আছে। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের যাত্রাকে যদি নিবিঘ্ন করতে হয়, তবে হেফাজতের সাথে কোনো দলের আপোষ অথবা তাদের দাবি মানার ফলাফল কখনোই ভালো হবে না; বরঞ্চ এতে হিতে বিপরীত হবে।

তাহলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ যে কাজটি করছে, তাকে ১৪ দলের একটি শরীক দল হিসেবে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করছেন?

রাশেদ খান মেনন : হেফাজতের সাথে কোনো ধরনের আপোষের ব্যাপারটি ভুল পদক্ষেপ বলেই আমার ব্যক্তিগত অভিমত।

তাহলে আওয়ামী লীগ কী ভুল পদক্ষেপ নিচ্ছে?

12রাশেদ খান মেনন : তা বলার প্রয়োজন নেই। তবে এ কাজটি যেমন করা হচ্ছে, তেমনি ধর্ম নিয়ে যে বাড়াবাড়ি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী সেকথাও বলছেন। এটা নিয়ে একটি কনফিউশন বা ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে, দ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে। আমার ধারণা এই ধরনের কনফিউশন বা দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়।

এটি রাজনীতির জন্য কতোটা ক্ষতিকর ?

রাশেদ খান মেনন : এটি রাজনীতির জন্য নিঃসন্দেহে ক্ষতিকর। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক শক্তির স্পেসকে কমিয়ে দেবে এবং সংকুচিত করবে। অন্যদিকে, মৌলবাদী, ধর্মান্ধদের স্পেসকে বাড়িয়ে দেবে এবং তারা অনেক বেশি সাহসী হবে।

আর এরপরে যেসব দাবি নিয়ে তারা আসবে অর্থাৎ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলা, সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন করা, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত বাদ দেয়াসহ বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে আসবে।

১৪ দলে বিষয়টি উত্থাপন করবেন কিনা ? রাশেদ খান মেনন : নিশ্চয়ই। যখন আলোচনা হবে, তখন অবশ্যই উত্থাপিত হবে।