• শনিবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৫

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে মানুষের ঢল


প্রকাশিত: ২:৩৩ পিএম, ৭ মার্চ ১৮ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫২ বার

বিশেষ প্রতিনিধি :  জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে মানুষের ঢল নেমেছে। বঙ্গবন্ধুর এ 7 march-www.jatirkhantha.com.bdভাষণ দেয়ার স্মৃতি বিজড়িত স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় যোগ দিতে বুধবার সকাল থেকেই  রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশ পথ দিয়ে সুসজ্জিত পোশাকে মিছিল নিয়ে প্রবেশ করছেন অংশগ্রহণকারীরা। এরই মধ্যে কানায় কানায় ভরে উঠেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

এদিকে ৭ই মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আজ ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করে। বুধবার সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৭ই মার্চ পালন করতে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

১৯৭১ সালের এ দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। কালজয়ী ভাষণে বজ্রকন্ঠে তিনি ঘোষণা করেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বান বিদ্যুৎ বেগে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। স্বাধীনতার স্বপ্নে জেগে ওঠে পুরো জাতি। ক্ষেত্র প্রস্তুত হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী এ ভাষণ পৃথিবীর অন্যতম সেরা রাজনৈতিক ভাষণগুলোর একটি। কোনো ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া ওই দিনের ভাষণ ছিল মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা। গত বছরের ৩০ অক্টোবর ৭ই মার্চের ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

রাজধানী জ্যাম-
কয়েক ঘণ্টা পর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের জনসভা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বিশাল এই জনসভায় অংশ নিতে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে অাসছেন নেতাকর্মীরা।এছাড়া বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল করে সমাবেশস্থলে অাসছেন তারা। পায়ে হেটেও জনসভায় যোগ দিচ্ছেন অনেকে।
ফলে রাজধানীবাসী পড়েছে প্রচণ্ড জ্যামে। গুগলের ট্র্যাফিক অ্যাপসে লাল বর্ণে রাখা হয়েছে রাজধানীর বেশিরভাগ রাস্তা। প্রধান সড়কগুলো বেশিরভাগই মন্থর।এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কেউই প্রকাশ্য মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু এটা সরকারি কর্মসূচি না। একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি। তাই এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।সবুজ, হলুদ, লাল, কালচে লাল চার সংকেতে মাধ্যমে এ তথ্য দিচ্ছে বিশ্বের সেরা সার্চ ইঞ্জিনটি। সবুজের অর্থ রাস্তা স্বাভাবিক, হলুদ মানে কিছু গাড়ি আছে, কমলার মানে হালকা জ্যাম ও লাল মানে রাস্তায় মন্থর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে গাড়ি।জনসভা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশেরও কোনো বিশেষ নির্দেশনা ছিল না।