• মঙ্গলবার , ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সিনহা’র ৪কোটি টাকার গোমরফাঁস!


প্রকাশিত: ৮:৩৭ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৫ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : সিনহার এ্যাকাউন্টে ৪ কোটি টাকা কিভাবে গেল আজ তা ফাঁস করবেন দুই ব্যবসায়ী। ফারমার্স ব্যাংকের দুই ব্যবসায়ীর হিসাব থেকে এই টাকা দেয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় কাল বুধবার ২৬ সেপ্টেম্বর তাদের দুদকে তলব করা হয়েছে। দুদক সূত্র জাতিরকন্ঠকে বলেছে, কথিত দুই ব্যবসায়ীর ফারমার্স ব্যাংকের হিসাব থেকে

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা স্থানান্তরের অভিযোগে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেএম শামীমসহ ছয় জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।মঙ্গলবার দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদেরকে বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, জাল কাগজপত্রে ওই দুই ব্যবসায়ীর হিসাব খোলা, দুই জনের হিসাব থেকে দুই কোটি করে চার কোটি টাকা কার হিসাবে স্থানান্তর করা হয়েছে, কি উদ্দেশ্যে স্থানান্তর করা হয়েছে- জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছে এসব তথ্য জানতে চাওয়া হবে। ওই অর্থ স্থানান্তরে জাল-জালিয়াতির সঙ্গে ওই ছয় জনের মধ্যে কারে সংশ্নিষ্টতা আছে কিনা- সেটিও যাচাই করা হবে।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা অন্য পাঁচ জন হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের নির্বাহি কর্মকর্তা উম্মে সালমা সুলতানা, সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, সাবেক ব্যবস্থাপক (অপারেশন) ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক হেড অব বিজনেস ও সিনিয়র এপিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী সালাউদ্দিন ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়।

সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ফারমার্স ব্যাংকে কথিত দুই ব্যবসায়ীর হিসাব থেকে অন্য কারো হিসাবে চার কোটি টাকা স্থানান্তরের একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে উল্লেখ করার পরদিন মঙ্গলবার ওই ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলো।চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল কথিত ব্যবসায়ী নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা ও মো. শাহজাহান ভূইয়াকে অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ছয় মাস পর ডাক পড়লো ছয় ব্যাংকারের।

জানা গেছে, সাবেক ওই প্রধান বিচারপতি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে বিদেশ চলে যাওয়ার দুদক ওই চার কোটি টাকা স্থানান্তরের অনুসন্ধান শুরু করেছিল। শুরুতেই ওই দুই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছির। এরপর এসকে সিনহা বিদেশে অবস্থান করে ‘এ ব্রোকেন ড্রিম’ বইটি লেখা ও প্রকাশ পাওয়ার পর অভিযোগটির অনুসন্ধানে জোর তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।

দুদক জানায়, কথিত ব্যবসায়ী নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা ও মো. শাহজাহান ভূইয়া কাগজপত্র দাখিল করে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় দু’টি হিসাব খুলেছিলেন ২০১৬ সালে। ওই শাখার কর্মকর্তাদের সহায়তায় ২ কোটি করে মোট চার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিলেন তারা।দুই ব্যবসায়ীর হিসাব থেকে দুই কোটি করে মোট চার কোটি টাকা ২০১৬ সালের নভেম্বরে সাবেক ওই প্রধান বিচারপতির ব্যাংক হিসাবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দুদকে পেশ করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। যা মানিলন্ডারিং আইন পরিপন্থি। এই দুই ব্যবসায়ীর বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর উত্তরায়। তাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়িতে।