• বুধবার , ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শ্রমিকদের জন্য সব গণপরিবহন চলবে রবিবার ১২টা পর্যন্ত


প্রকাশিত: ১০:৫৭ পিএম, ৩১ জুলাই ২১ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭৪ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : গার্মেন্টসহ কলকারখানা শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে রবিবার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সব ধরনের গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শনিবার (৩১ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে তথ্য অধিদপ্তর।এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলায় এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করবে। শনিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক।

শনিবার (৩১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান কারখানা মালিকদের উদ্দেশে বলেন, বিধিনিষেধ পুরোপুরি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত গ্রামে অবস্থানরত কোনো শ্রমিক-কর্মচারী কাজে যোগদান করতে না পারলে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কারখানার আশপাশে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সদস্যদের আহ্বান জানাচ্ছি।এর আগে শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১ আগস্ট (রবিবার) থেকে গার্মেন্টসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১ আগস্ট (রোববার) সকাল ৬টা থেকে রফতানিমুখী সব শিল্প-কারখানা বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখা হলো। এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আজ (শনিবার) সকাল থেকেই ঢাকামুখী শ্রমিকদের ঢল নামে।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুত দেশের রফতানিখাতসহ সব উৎপাদনমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়ার দাবি জানায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)।ওদিকে লকডাউন পুরোপুরি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত গ্রামে অবস্থানরত কোনো পোশাক শ্রমিক-কর্মচারি কারখানায় কাজে যোগদান করতে না পারলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনোপ্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। এ সময়ে কারখানার আশপাশে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার সন্ধ্যায় এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।

ওদিকে আগামীকাল রোববার থেকে কারখানা খুলে দেওয়ার খবরে অনেক শ্রমিক কর্মস্থলে ফেরার চেষ্টা করছেন। ফেরিতে এবং মহাসড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে শহরমুখী শ্রমিকরা ভিড় করছেন। লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় শহরে ফিরতে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছেন তারা। এ খবরের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় বিবৃতি দেওয়া হয়।