• বুধবার , ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

লকডাউনের ঘোষণায় ঢাকা ছাড়ছে দেশের লোকজন


প্রকাশিত: ১০:২৯ পিএম, ৩ এপ্রিল ২১ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৫৬ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : লকডাউনের ঘোষণায় ঢাকা ছাড়ছে লোকজন। আগামী সোমবার থেকে সারা দেশে সাতদিনের লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে অনেক মানুষ। লকডাউনের খবর পাওয়ার পর পরই তারা বাস ও ট্রেন স্টেশন এবং লঞ্চ টার্মিনালের দিকে ছোটেন। এদিকে গণপরিবহণে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার নির্দেশনার কারণে বাসে আসন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন অনেক যাত্রী।

রাজধানীর কল্যাণপুরের এসপি গোল্ডেন লাইন পরিবহণের কাউন্টারের ব্যবস্থাপক বাবু আহমেদ জাতিরকন্ঠ কে বলেন, আজ শনিবার দুপুর থেকে যাত্রীদের ফোনের পর ফোন আসা শুরু হয়। এখন যারা ফোন দিচ্ছেন, সবাইকে বলতে হচ্ছে আর একটি টিকেটও অবশিষ্ট নেই। কারণ, আগামীকাল রোববার রাত পর্যন্ত সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। মনে হচ্ছে ঈদের সময়ও টিকেট বিক্রি করার জন্য এত ফোন আসে না আমাদের কাছে।

রয়েল বাস কাউন্টারের গাবতলীর ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, কাল রাত পর্যন্ত সব টিকেট শেষ। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে সবাই কাউন্টারে এসে টিকেট কিনে নিয়ে গেছে। ফোনের এত চাপ ছিল যে, আমরা ফোন ধরাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম। মহাখালী বাস টার্মিনালে এনা পরিবহণের কাউন্টারে টিকেট বিক্রি করেন শফিক আহমদ। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে কয়েক দিন ধরে বাসের অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহণ করছেন তারা। এতে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। আজ লকডাউন ঘোষণার পর তুলনামূলকভাবে যাত্রীও বেশি আসা শুরু করেছে। কাল রোববার ঘরমুখো মানুষের চাপ আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লকডাউনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য লোকজনের ভিড় বেড়েছে। এ কারণে ডেকে ও সিটে ৫০ শতাংশ যাত্রী ফাঁকা রাখার কথা থাকলেও অনেক লঞ্চ তা পারেনি। তবে অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ ভাড়া ঠিকই আদায় করছে। ঢাকা থেকে বরিশালগামী লঞ্চের ডেক ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। তবে কেবিন ভাড়া আগের মতোই রয়েছে।এদিকে লকডাউনে জরুরি খাদ্যবাহী ট্রেন ছাড়া সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এ ঘোষণার পরপরই রেল স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় বাড়ে।