রাস্তার রাজা পুলিশের কান্ড-
বিশেষ প্রতিনিধি : রাস্তার রাজা পুলিশের কান্ড- সরেজমিনে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করে না। চেকপোস্টের নামে পুলিশ কি করে তার প্রমাণ এই ভিডিও। মধ্যরাতে রাজধানীর রামপুরা টেলিভিশন সেন্টার এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশির নামে এক নারীকে ৩ পুলিশ মিলে নাজেহাল করে। তল্লাশির নামে পুলিশ যা বলেছে তা শুনলে যে কারো গা শিউরে উঠবে-?
প্রশ্ন উঠবে এই পুলিশ জনগনের বন্ধু! যদিও হয়রানির ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে রহস্যর বিষয় হচ্ছে ওই পুলিশ’ই নারীকে হেনস্তা করে সেই ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে ইউটিউবে!যদিও এক সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এর আগে ২৩ অক্টোবর মতিঝিল ডিভিশনকে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্য পুলিশের খিলগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার নাদিয়া জুঁই রোববার বলেন, ওই রাতে তল্লাশির দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের কার কী ভূমিকা ছিল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।তিনি বলেন, ফেসবুকে পাওয়া ভিডিওফুটেজে পর্যালোচনা করে এবং ওখানে যারা দায়িত্বরত ছিলেন সবার বক্তব্য নিয়ে, যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন, যাদের দায়িত্বে অবহেলা পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে, ওই রাতে রামপুরায় তল্লাশিতে যুক্ত ছিলেন পাঁচ পুলিশ সদস্য। রামপুরা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ছিলেন পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পূর্ব-এর চার সদস্য।তাদের মধ্যে এএসআই ইকবাল হোসেন ও পিওএমের দুই কনস্টেবল মিজানুর ও তৌহিদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত তিনজনের একজন মিজানুর ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করেন ও তৌহিদ নারীর মুখে আলো ফেলে উত্ত্যক্ত করেন। তিনজনের বিরুদ্ধেই নারীকে উত্ত্যক্ত করা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২৩ অক্টোবর পুলিশের কনস্টেবল মিজানুর তল্লাশির নামে ওই নারীকে নানাভাবে হেনস্তার ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেন।
দেখা যায়, বারবার ব্যাগ তল্লাশির অনুরোধ সত্ত্বেও পুলিশ সদস্যরা তা না করে অপ্রাসঙ্গিক নানা বিষয়ের অবতারণা ও অবমাননাকর মন্তব্য করছেন। আর দলের একজন ঘটনার শিকার নারীর মুখে অনবরত আলো ফেলছিলেন। ভিডিওটি দেখে ফেসবুকে মানুষ পুলিশের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করেন।এ প্রেক্ষাপটে ডিএমপি ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে ওই দিনই একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হয়।
পুলিশের নারী উত্যক্তের সেই ভিডিও দেখুন এই লিংকে:-https://www.youtube.com/watch?v=4xEfpzMNP9A