• বুধবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৫

রাষ্ট্রচালনায় হাসিনা ইতিবাচক খালেদা..


প্রকাশিত: ৫:৪৬ পিএম, ৩০ এপ্রিল ১৮ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২০ বার

এস রহমান  :  রাষ্ট্রচালনায় যোগ্যতা যাচাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতি মানুষ ইতিবাচক ধারনা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিক Hasins-IIR-www.jatirkhantha.com.bdজামায়াত ও জঙ্গি কানেকশনের কারণে খালেদা জিয়ার প্রতি মানুষ নেতিবাচক ধারনা প্রকাশ করেছে বলে এক গবেষণা তথ্য প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউটের (আইআরআই)।

সংস্থাটি বলেছে, সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালনে দৃঢ মনোভাব, দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং  উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মনোভাব  ইতিবাচক বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

pm cidney-www.jatirkhantha.com.bdসম্প্রতি বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে ওই গবেষণা প্রতিবেদনে  এবিষয়টি তুলে ধরেছে।২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে বেশ কিছু ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনের (এফজিডি) মাধ্যমে  চালানো ওই গবেষণা শেষে  আইআরআই নিজস্ব সাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ।

আইআরআই  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং দলটির প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন জরিপে অংশ নেওয়া অধিকাংশ ব্যক্তি। দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা এবং বর্তমানে ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের উন্নয়নে নেওয়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণেই এই ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে।
hasina-in20180418015619
অন্যদিকে বিএনপি ও দলটির প্রধান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন ও পলাতক আসামি তারেক রহমান এবং জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন জরিপে অংশগ্রহণকারীরা।  খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এবং বিএনপির তুলনায় বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টি সম্পর্কে এফজিডিতে অংশগ্রহণকারীরা বেশি ইতিবাচক বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

সংস্থাটির দেওয়া তথ্য মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার ইস্যুতে মিশ্র মন্তব্য করেন সাধারণ মানুষ।এফজিডিতে অংশ নেয়া বেশিরভাগ ব্যক্তি মনে করেন, আসন্ন ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বড় প্রতিবন্ধকতার মধ্যে থাকবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। সহিংসতা, স্বৈরশাসন এবং ধর্মীয় চরমপন্থার জন্য তারা পিছিয়ে থাকতে পারে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অধিকাংশই নিজেদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অংশগ্রহণকারীরা দুর্নীতিকে বড় সমস্যা বলে চিহ্নিত করেন।
pm-saudi arab-www.jatirkhantha.com.bd
জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা নির্বাচনে জালিয়াতি এবং সহিংসতার ব্যাপারে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গুণগত মান নিয়ে সমালোচনা করেন। প্রায় সবাই নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির তুলনায় আওয়ামী লীগ শক্ত রাজনৈতিক অবস্থানে আছে বলেও মন্তব্য করা হয় এই প্রতিবেদনে।

শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার কারণে আওয়ামী লীগ দেশে জনপ্রিয় বলেও উল্লেখ করা হয় আইআরআইয়ের প্রতিবেদনে।এফজিডিতে অংশগ্রহণকারীরা নারী শিক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার দক্ষ নেতৃত্ব প্রদান এবং ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষিত ও দেশপ্রেমী হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন প্রদানের কথা জানান।
India Bangladesh
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে খালেদা জিয়ার থেকেও বেশি নেতিবাচক মনোভাব দেখা যায় বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে নিয়ে। তাদের মতে, তারেক রহমান যে নির্দেশনাই দিক না কেনো, দলের জন্য তা বাড়তি চাপ হিসেবে কাজ করবে।

ব্যক্তি পর্যায়ে নিরাপত্তায় সরকারের বিভিন্ন অংশের সমালোচনা করা হলেও সামষ্টিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের প্রশংসা করেন অংশগ্রহণকারীরা।২০১৭ সালের ৯ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে আইআরআই তাদের ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন কার্যক্রম পরিচালনা করে।