• বুধবার , ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজনীতির বিষফোঁড়া রিমান্ডে হেলেনা জাহাঙ্গীর


প্রকাশিত: ৯:৩২ পিএম, ৩০ জুলাই ২১ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৭৮ বার

কোর্ট রিপোর্টার : ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বহুল বিতর্কিত চাকুরীজীবী লীগ নামের রাজনীতি ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে। আজ শুক্রবার গুলশান থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আসামি হেলেনা জাহাঙ্গীরকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এর আগে রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাকে। শুনানি শেষে বিচারক রাজেশ চৌধুরী তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ জনি বিষয়টিজাতিরকন্ঠ কে এতথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হেলেনা জাহাঙ্গীরের পক্ষে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড শুনানির আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে র‍্যাব অভিযান চালায় গুলশান ২ নম্বরে হোটেল ওয়েস্টিনের পেছনে ৩৬ নম্বর সড়কের পাঁচ নম্বরে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায়। প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান চলে। এ সময় তাঁর বাসা থেকে বিদেশি মদ ও মুদ্রা, হরিণ ও ক্যাঙ্গারুর চামড়া, ওয়াকিটকি সেট এবং ক্যাসিনোর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় বলে অভিযান শেষে জানান র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।

এদিকে আজ বিকেলে র‍্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া মাদক, বিদেশি মুদ্রা ও বন্যপ্রাণীর চামড়া জব্দের ঘটনায় আলাদা আলাদা মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া ‘জয়যাত্রা’ নামক টেলিভিশন চ্যানেল পরিচালনার কারণে আলাদা মামলা হবে বলে জানান র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক।

এরপর বিকেলে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।
রাতে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জাতিরকন্ঠ কে বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দুটি মামলা হয়েছে। একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মাদকসহ অন্যান্য ধারায়। তাঁকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।