রাজকীয় ঈদের খাবার খান শাহরুখ ও সালমান খান
বিনোদন রিপোর্টার : রাজকীয় ঈদের খাবার খান শাহরুখ ও সালমান খান; বলিউডের আমির খান কিছুটা সাদামাটাভাবে দিনটি পালন করেন। বাকি দুই খান শাহরুখ ও সালমান ঈদ উদ্যাপনে করেন বেশ জাঁকজমকভাবে। তাঁদের বাড়ির সামনে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করেন। সালমান ও শাহরুখ অবশ্য তাঁদের ভক্তদের নিরাশ করেন না। তাঁরা বাড়ির বাইরে এসে ভক্তদের কাছে পৌঁছে দেন ঈদের শুভেচ্ছাবার্তা। দেন খাবরও। তবে করোনার কারণে গতবারের মতো এবারও ঘরোয়াভাবেই ঈদ উদ্যাপন করবেন তাঁরা।
খানদের কৈশোরের ঈদ ছিল একেবারে অন্য রকম। তখন তাঁরা কেউই আজকের তারকা নন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাঁরা বলেছেন শৈশবের ঈদ উদ্যাপনের স্মৃতি। শাহরুখ জানিয়েছেন, ঈদে শৈশবে মা-বাবার হাতে রান্না করা সুস্বাদু খাবারের অপেক্ষায় থাকতেন তিনি। শৈশবের শাহরুখের সেই সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত থাকল আজ। প্রতি ঈদেই শাহরুখ খানের স্বপ্নের ‘মান্নাত’ (শাহরুখের বাড়ি) আলোয় ঝলমল করে ওঠে। পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, চলচ্চিত্র পরিবারের সবার সঙ্গে দিনটি কিং খান বিশেষভাবে উদ্যাপন করেন। এই বলিউড সুপারস্টার মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, ঈদ মানে সবাই মিলিত হওয়ার উৎসব। এদিন তাঁর বাড়িতে রাজকীয় খাবারের আয়োজন থাকে।
তবে ঈদের দিন নাকি বাড়ির খাবার মোটেও মুখে তোলেন না বলিউড বাদশা। বন্ধু সালমান খানের বাড়ির বিশেষ বিরিয়ানির অপেক্ষায় থাকেন তিনি। মায়ের হাতের হায়দরাবাদি খাবার আজও মিস করেন শাহরুখ। এত প্রাচুর্যের মধ্যেও কৈশোরের ঈদ ভুলতে পারেননি তিনি। ছোটবেলার ঈদ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ বলেছিলেন, ছোটবেলায় ঈদের দিনে আমি কিছুতেই কুর্তা-পায়জামা পরতে চাইতাম না। মাও আমাকে ছাড়তেন না। তিনি আমাকে জোর করে কুর্তা-পায়জামা পরাতেন। আজ আমিও আমার ছেলেকে জোর করে পাঠানি স্যুট এবং আচকান পরাই। শাহরুখ আরও বলেছিলেন, ঈদের দিনে বাবার স্কুটিতে চেপে মসজিদে নামাজ পড়তে যেতাম। এদিন মা হায়দরাবাদি খাবার বানাতেন। আর বাবা রান্না করতেন পাঠানি খাবার। আমি এসব সুস্বাদু খাবারের অপেক্ষায় থাকতাম।