• বুধবার , ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বেপরোয়া ড্রাইভারে নিভে গেল ১১ তাজা প্রাণ


প্রকাশিত: ৬:৫১ পিএম, ২৯ মে ২২ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৪ বার

বরিশাল প্রতিনিধি : যমুনা লাইন ড্রাইভারের বেপরোয়া গাড়ি চালনায় নিভে গেলো ১১টি তাজা প্রাণ। ঘটনাস্থলেই এরা নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তখন ভোর রাত। বাইরে অন্ধকার ও বৃষ্টি। অধিকাংশ যাত্রীরা ছিলেন ঘুমে। হঠাৎ বিকট আওয়াজ। রাস্তার পাশের গাছে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা খেল বাসটি। অতঃপর যাত্রীদের আর্তনাদ, আহাজারি..। আশপাশে তেমন কেউ ছিল না। প্রায় আধা ঘণ্টা পর দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রীদের উদ্ধারে লোকজন এগিয়ে আসে।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক বেলাল উদ্দিন জানালেন, ঢাকা থেকে ভান্ডারিয়াগামী যমুনা লাইন পরিবহনের চালক ঘুমিয়ে পড়ায় বাসটি দুর্ঘটনায় পতিত হয় বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা। আর সে কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি গাছের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়।তবে বাস চালকের নাম এখনও প্রকাশ করেনি ফায়ার সার্ভিস।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে ভান্ডারিয়াগামী যমুনা লাইন পরিবহন নামক বাসটি রোববার ভোর সাড়ে ৫টায় বরিশালে উজিরপুর উপজেলার বামরইল নামক স্থানে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের পাশে মেহগনি গাছের ওপর আছড়ে পড়ে। এ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত ২৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বরিশালের শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়-শেবাচিমে চিকিৎসাধীন আহত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের কাছাকাছি কোনো একটি এলাকায় যমুনা লাইনের বাসটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছিল বাসটিতে।

শেবাচিমে চিকিৎসাধীন আবুল কালাম বলেন, শনিবার রাত ১০টায় বাসটি সাভার থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের কোন স্থানে বাসটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় লাগে গোলযোগ সারাতে।তিনি বলেন, শিমুলিয়া-বাংলাবাজারের ফেরি পার হতে বেজে যায় রাত সাড়ে ৩টা। ফেরি পার হয়ে চালক বেপরোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। যাত্রীরা অনেকবার বললেও তিনি শুনেননি।আবুল কালাম কালু পিরোজপুরের নেছারাবাদ যাওয়ার জন্য সাভার থেকে বাসটিতে উঠেছিলেন।

আর ১৫ মিনিট পর তার বরিশালের গড়িয়ারপাড় নামার কথা ছিল। কিন্ত তার আগেই দুর্ঘটনায় পতিত হয় বাসটি। দুর্ঘটনায় হাত-পা ভেঙে গেছে তার।বরিশাল নগরের সদর রোডের বাসিন্দা মিলন দাস (৩৪) যমুনা লাইনের যাত্রী ছিলেন। গুরুতর আহত হয়ে তিনি শেবাচিমে চিকিৎসাধীন। যাত্রী মিলন দাস বলেন, আমি বাসের মাঝামাঝি জানালার পাশে বসে ছিলাম। গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর জানালা ভেঙ্গে ছিটকে বাইরে পড়ে যাই। চালকের বেপরোয়া গতির কারনেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। গৌরনদী হাইওয়ে থানার পরিদর্শক বেল্লাল হোসেন বলেছেন, বেপরোয়া গতির কারনেই যমুনা লাইনের বাসটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।