বিচারক কামরুনাহার আউট
বিশেষ প্রতিনিধি/কোর্ট রিপোর্টার : রেইনট্রি ধর্ষণ মামলা রায়ের ৭২ ঘন্টা পর সেই বিচারক আউট অবশেষে। তার বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। বিতর্কিত রায়ের খেসারতে আজ বিচারক কামরুনাহার এজলাসে বসতেই পারেননি। তিনি ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে ৭২ ঘন্টা পর পুলিশকে মামলা না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন রায়ের পর্যবেক্ষণে। সেটাই আজ রবিবার তার জন্যে বুমেরাং হয়ে গেছে। রায়ের পর্যবেক্ষণ দেয়া সেই ৭২ ঘন্টা পর বিচারক কামরুননাহার নিজেই বাদ পড়ে গেলেন বিচারিক ক্ষমতা থেকে। অতঃপর টক অব দ্যা কান্ট্রি বিচারক কামরুন নাহার।
রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায়ে ৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণের মামলা না নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার আজ রোববার সকাল ৯টায় ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। প্রস্তুতি ছিল এজলাসে বসে বিচারকাজ করার। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টায় জানতে পারেন, তাকে প্রধান বিচারপতির দপ্তর থেকে এজলাসে না বসার নির্দেশনা দিয়েছেন। ফলে এজলাসে আর ওঠা হয়নি এই বিচারকের। খাসকামরায় বসে ছিলেন তিনি।এর আগে গত ১১ নভেম্বর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় সব আসামিকে রায়ে বেকসুর খালাস দেন আদালত। রায়ে ৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণের মামলা না নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার। এ নির্দেশনা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার জেরে বিচারপতির দপ্তর এজলাসে না বসার নির্দেশ দিলেন।
নির্দেশনায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মহোদয়গণের আলোচনাক্রমে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে ১৪ নভেম্বর সকাল ৯:৩০ ঘটিকা হতে আদালতে না বসার নির্দেশ প্রদান করেছেন। তার ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে বর্তমান কর্মস্থল হতে প্রত্যাহার করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হতে আইন মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।’
বেসরকারি সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সদ্যবিদায়ী চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে সোমবার দুপুরের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।