• বৃহস্পতিবার , ২৭ মার্চ ২০২৫

বিকাশ’এ প্রকাশ্য চুরি-বঙ্গবন্ধুর নামে খেলছে ‘ফানডিস’ জুয়া


প্রকাশিত: ১:৫০ এএম, ৯ মে ২১ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৮৮ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : বিকাশ’এ প্রকাশ্য চুরি-বঙ্গবন্ধুর নামে খেলছে ‘ফানডিস’ জুয়া;
প্রতিটি লেনদেনে দেড় টাকা করে প্রকাশ্য চুরি করছে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ। এর কোনো সুরাহা হচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। এনিয়ে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। চুরি চলছে অব্যাহত গতিতে।
মোবাইলে ব্যাংকিং সেবায় প্রতি হাজারে ২০ টাকা চার্জ বা মাশুল নেওয়ার মাধ্যমে দেড় টাকা করে বাড়তি নেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত মাশুল ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু বাড়তি টাকা কোনো কারণ ছাড়াই দিচ্ছে না বিকাশ কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে শত শত, হাজার হাজার কোটি বার লেনদেনে এই দেড় টাকা করে মেরে দিয়ে বিকাশ অবৈধ অর্থের কুমির বনে গেছে। কিন্তু এর বিচার করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। অবিযোগ আছে বিকাশ সব ম্যানেজ করেই এটা করছে। ওদিকে বিকাশ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নামে ‘ফানডিস’ নামে জুয়া খেলা চালু করে গ্রাহকদের সর্বশান্ত করছে।

শনিবার (৮ মে) ‘প্রতিযোগিতা ও অংশীদারত্বে প্রেক্ষাপট: প্রসঙ্গ এমএফএস সেবা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) এ সভার আয়োজন করে।আলোচনা সভায় বক্তারা মোবাইলে আর্থিক সেবা, এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, প্রতিযোগিতা, সেবাগ্রহীতার ব্যয় ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা এমএফএস সেবায় গ্রাহকের চার্জ কমানোর উদ্যোগ নেওয়ার সময় এসেছে বলেও উল্লেখ করেন।

দেড় টাকা করে বাড়তি নেওয়াকে চুরি ও প্রতারণা হিসেবে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম।শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, দেড় টাকাকে বছরের মোট লেনদেন নিয়ে গুণ করে দেখুন, কত টাকা বাড়তি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এমএফএস খাতে একচেটিয়া ব্যবসা রয়েছে। এটা ঠেকাতে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাধারীর ওপর বিধিনিষেধ জারি করা প্রয়োজন।

আবুল কাশেম বলেন, প্রত্যেক এজেন্টের দোকানের সামনে সর্বোচ্চ চার্জ সাড়ে ১৮ টাকা, সেটি লিখে দেওয়া অসম্ভব কোনো বিষয় নয়। প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্সধারী। তাদের সেবায় দেড় টাকা করে কীভাবে বেশি নেওয়া হচ্ছে, তা দেখা দরকার। তিনি বলেন, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের জন্য ৯ টাকা ৯৯ পয়সা চার্জ আরোপ করছে। এটাও একধরনের চালাকি। দেশে এক পয়সার ব্যবহার কি আছে?

আবুল কাশেম আরও বলেন, মোবাইলে টাকা পাঠাতে কোনো চার্জ নেওয়া যাবে না। এটা কেউ মানছে, কেউ মানছে না। এটার বিচার কে করবে, বাংলাদেশ ব্যাংক না বিটিআরসি- বিচারটা হওয়া দরকার।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে। এতে আইনজীবী ইফতেখার জোনায়েদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক বদিউজ্জামান দিদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।