• বৃহস্পতিবার , ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মোবাইলফোন টাওয়ারের তেজস্ক্রিয়তা ‘উচ্চমাত্রা’র-স্বাস্থ্যর ক্ষতি মারাত্মক


প্রকাশিত: ৫:১৭ পিএম, ২২ মার্চ ১৭ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৪ বার

স্টাফ রিপোর্টার :  বাংলাদেশে মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর টাওয়ার থেকে নিঃসৃত তেজস্ক্রিয়তার mm(রেডিয়েশন) মাত্রা উচ্চপর্যায়ের, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে দাখিল করা এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে জানাতে সংস্থাটির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের  বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আজ আদালতে বলেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে দেখা গেছে সেলফোনের টাওয়ারে রেডিয়েশনের মাত্রা অনেক বেশি অর্থাৎ উচ্চমাত্রার, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তারা এটা বিটিআরসিকে জানিয়েছে যেন রেডিয়েশনের মাত্রা কমাতে ব্যবস্থা নেয়। এরপর আদালত প্রতিবেদনটি হলফনামা আকারে দাখিল করতে বলেছেন এবং বিটিআরসির পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন।

এদিকে স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে নির্ণয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে আজ  আরো একটি আবেদন করেছে রিটকারী পক্ষ।

এর আগে সেলফোন টাওয়ারের তেজস্ক্রিয়তা নিঃসরণ নিয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।  ওই রিটের শুনানি শেষে ওই সময় হাইকোর্ট রেডিয়েশনের মাত্রা এবং এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাব খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কয়েকটি মোবাইল ফোন টাওয়ার পরিদর্শন করে রেডিয়েশন বিষয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেন। এ ছাড়া সাতদিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করতে স্বাস্থ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই কমিটিতে বিজ্ঞানী, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অধ্যাপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং আণবিক শক্তি কমিশনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। এই কমিটিকে মোবাইল টাওয়ার থেকে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশগত প্রভাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত মুঠোফোন কোম্পানির টাওয়ারগুলো থেকে নিঃসৃত তেজস্ক্রিয়তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।