• বৃহস্পতিবার , ১৪ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে দুইজন ‘গরম পীর’ আছেন একজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-অন্যজন খালেদা জিয়া


প্রকাশিত: ১:৩০ এএম, ১৩ মার্চ ১৫ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৩ বার

স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মোহাম্মদ সেলিম স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় যেতে কত দিন লাগে? আজ বৃহস্পতিবার সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে এর উত্তর চান হাজি সেলিম।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে হাজি সেলিম জানতে চান, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় যেতে কত দিন লাগে? ২০০১ সালে আমাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দ্রুতগতিতে থানায় চলে যেত। এখন কেন যায় না?’

স্বতন্ত্র এই সাংসদ বলেন, বাংলাদেশে দুইজন ‘গরম পীর’ আছেন। একজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অন্যজন খালেদা জিয়া। এদের যেকোনো একজনের গায়ে হাত দিলে পরিস্থিতি অন্য রকম হয়ে যায়। সে জন্যই কি (পরোয়ানা) যায় না? এদের গায়ে হাত দিয়ে এক-এগারো সফল হতে পারেনি।

হাজি সেলিম আরও বলেন, ‘দয়া করে শ্যোন অ্যারেস্ট বন্ধ করেন। মানুষ বহু কষ্টে জামিন পায়। তারপর আবার গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এটা পরিবারের জন্য যন্ত্রণাদায়ক। যা করার একবারেই করেন।’
Hasina-khaleda-43756437জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এই প্রশ্নটি আমাকে না করে আইন মন্ত্রণালয়কে করলে ভালো হতো। খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। আদালতের পরোয়ানা থানায় গেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।’

শিগগির কাউন্টার টেররিজম বাহিনী
সম্পূরক এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পৃথক বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সংসদের হুইপ শহীদুজ্জামান সরকারের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কাউন্টার টেররিজম বাহিনী খুব শিগগিরই হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাউন্টার টেররিজম বাহিনী আছে। এ ধরনের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা আমাদের আছে।’

তারানা হালিমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সব সময়ই নানা রকমের ষড়যন্ত্র হয়। আমাদের গোয়েন্দারা তাদের চিহ্নিত করেছে। এদের অচিরেই গ্রেপ্তার করে ফেলা হবে।’
ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে, তারা বসে নেই। আমাদের গোয়েন্দারাও তৎপর আছে। আমরা অনেক কিছু উদঘাটন করেছি।’
প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে বিকেল পাঁচটার দিকে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।