বাংলাদেশের কালোমেঘ ছিনতাই-সুইন্ডে
স্টাফ রিপোর্টার : জার্মান তরুণী সুইন্ডে উইদারহোল্ড লুন্ঠিত মালামাল পুলিশ এখনো উদ্ধার করত পারেনি। ঘটনার পাঁচ দিন পরও ধরা পড়েনি ছিনতাইকারীরা। এদিকে ওই জার্মান তরুণী সুইন্ডে উইদারহোল্ড ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। এ ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মক ক্ষুন্ন হয়েছে বলে অভিজ্ঞমহল ধারনা করছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলেন। ভ্রমণপিপাসু এই জার্মান তরুণী গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসেন ফটোগ্রাফি শিখতে আর ছবি তুলতে। তবে হঠাৎ করেই তার সঙ্গে ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। যে ভালোবাসা নিয়ে এসেছিলেন তিনি, সেই ভালোবাসা হয়তো আর হৃদয়ে ধরে রাখতে পারলেন না।
ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর শংকর বাসস্ট্যান্ড থেকে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালের বাসায় ফিরতে তিনি একটি রিকশা ভাড়া করেন। রিকশাটি জিগাতলা পার হয়ে সীমান্ত স্কয়ারের সামনে আসামাত্র তার ব্যাকপ্যাকটি টান মেরে নিয়ে যায় ছিনতাইকারী। ওই ব্যাগে তার ল্যাপটপ, ক্যামেরা, ক্রেডিট কার্ড এবং তার দুটি হার্ডডিস্কসহ অন্যান্য জিনিস ছিল। সব হারিয়ে শুক্রবার ভোরে কাঁদতে কাঁদতে ঢাকা ছাড়েন ওই জার্মান তরুণী।
ওই ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী সুইন্ডে। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত কাউকে কিংবা খোয়া যাওয়া ব্যাকপ্যাক উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ধানমন্ডি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) পারভেজ ইসলাম বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। সংগ্রহ করা সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজও দেখা হচ্ছে।
এঘটনার পর সুইন্ডে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘একটি ঘটনা পুরো বাংলাদেশ ভ্রমণে অভিজ্ঞতাটি কালো মেঘে ঢেকে দিল। না, এটা (বাংলাদেশ) ভ্রমণের জন্য নিরাপদ নয়। একা ভ্রমণ না করাই ভালো।…আমি কেবল একটি কথাই বলতে পারি, দেখে-শুনে চলো, নিজের ক্ষেত্রে সাবধানে থেকো।…আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি বাংলাদেশ ছাড়ছি।’