• বুধবার , ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

‘খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাচ্ছে ট্রাম্প’


প্রকাশিত: ৩:১৬ পিএম, ১৬ আগস্ট ১৮ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৪ বার

 

 

স্টাফ রিপোর্টার :  বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর এএম রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন। বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন দ্য ডেইলি কলার পত্রিকা এ তথ্য জানিয়েছে।রাশেদ চৌধুরী ১৯৯৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছেন।

সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন তিনি।আন্তর্জাতিক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে, মার্কিন সরকার একজন রাজনৈতিক আততায়ীকে আশ্রয় দিয়েছে।২০১৪ সালে ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন লিখেছেন- দুর্ভাগ্যবশত একজন খুনি রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন। এ অবিচারের অবসান ঘটতে হবে। রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে নেয়ার সময় হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশি সূত্র জানায়, রাশেদ চৌধুরী শিকাগো, সিয়াটল, আটলান্টাসহ ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন শহরে বসবাস করেছেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও জিয়াউদ্দিন যৌথভাবে দ্য কলারকে জানিয়েছেন, রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে তারা ইতিবাচক আভাস পেয়েছেন।

গত জুলাই ও আগস্টে মার্কিন পররাষ্ট্র ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।দ্য কলারকে জিয়াউদ্দিন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন এগিয়ে আসায় আমাদের প্রত্যাশা এখন অনেক বেশি।তিনি বলেন, রাশেদ চৌধুরীকে প্রত্যর্পণে বাংলাদেশের তরফে বারবার অনুরোধ করা হলেও ওবামা প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি।গত ২৪ ও ২৫ জুলাই আবুল হাসান মাহমুদ আলী দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী জন জে সুলিভ্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিকে কূটনীতিক জিয়াউদ্দিন গত ১ আগস্ট বিচার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন।

ট্রাম্প বলেন, পলাতককে বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠালে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে প্রশংসিত হবেন।রাশেদ চৌধুরী ১৯৬৯ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করার পর ১৯৭৬ সালে দ্বিতীয় সচিব হিসেবে জেদ্দায় বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব পান।তিনি নাইরোবি, কুয়ালালামপুর ও ব্রাসিলিয়া দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৯৬ সালে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। ওই বছরেই রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে সরিয়ে দিতে ট্রাম্প প্রশাসন সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দ্রুতই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান তিনি। ট্রাম্প প্রশাসনের মনোভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ‘দ্য ডেইলি কলার’ও সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

বৃহস্পতিবার ইডেন কলেজে শোক দিবসের আলোচনায় যোগ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। যেসব খুনিরা পালিয়ে আছেন তাদেরও ফিরিয়ে এনে বিচার করার প্রক্রিয়া চলমান। আইনগত জটিলতার কারণে দুই খুনিকে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছিলো না বলেও জানান তিনি।ওবায়দুল কাদের বলন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর তাঁর খুনিকে যারা মদদ দিয়েছিলেন তারাও হত্যাকারী। আবারও এক এগারোর মতো ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।