প্রাণের মায়া’য়..
ডেস্ক রিপোর্টার : ছবির হতভাগ্য মানুষটি প্রাণের মায়া’য় জানালা দিয়ে লাফিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাঁচতে পারলেন না শেষমেষ! সাইবেরিয়ার কয়লা সমৃদ্ধ শহর কেমেরোভের চেরি শপিং মলের ভিতর রয়েছে বিনোদনের সবরকম বন্দোবস্ত। যার আকর্ষণে ছুটে আসত শিশুরা। তাদের সঙ্গে নিয়ে আসতেন অভিভাবকরা। সোমবারের অগ্নিকাণ্ডে তাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে খুদেরাই। রুশ শপিং সেন্টারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
জানা গেছে, উইন্টার চেরি কমপ্লেক্সে যখন আগুন লাগে, তখন ভিতরে অনেকেই সিনেমা দেখছিলেন। প্রথমে উপরের তলায় আগুন লাগে। ক্রমশ আগুনের লেলিহান শিখা কমপ্লেক্সের ভিতর চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হওয়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা ভবনটির জানালা দিয়ে লাফ মেরে প্রাণে বাঁচতে চেষ্টা করেন আক্রান্তরা।
রুশ তদন্তকারী কমিটি জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে যে আগুনে পুড়ে ভবনটির ভিতরের দু’টি সিনেমা হলের ছাদ ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে ৬৬০ জন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যকে।আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ২০০৩-এ এই শপিং মলটি তৈরি হয়। ভিতরে রয়েছে রেস্তরাঁ, পোষ্যদের চিড়িয়াখানা, বোলিংয়ের জায়গা, সনা বাথ।
স্থানীয় সময় রবিবার বেলা ৫টা নাগাদ আগুন লাগে। আগুনের শিখা প্রায় ১৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, ভিতরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় দমকলকে। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে চারজনকে। তাদের মধ্যে একজন এই শপিং মলের কর্তা। যাঁরা এখনও নিখোঁজ, তাঁদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলে মত দমকলকর্মীদের।