• বুধবার , ১৩ নভেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় কর্নেল জিয়া জড়িত-


প্রকাশিত: ৯:৩৬ পিএম, ১৭ জুন ১৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৩ বার

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা ১৭ জুন ২০১৪:

khaled21589

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমান পরিবারের পাশে থাকার যে আশ্বাস দিয়েছেন, তার কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের গডফাদারের দায়িত্ব নেয়, আশ্রয় দেয়। আওয়ামী লীগ নেত্রীই (শেখ হাসিনা) হলো গডফাদারের মা। যে গডফাদারকে আশ্রয় দেয়, তার কাছ থেকে মানুষ ভালো কিছু আশা করতে পারে না।’
আন্দোলনে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যেসব নেতা-কর্মী নিহত ও গুম হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যরা গতকাল রোববার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আবার র্যাবের বিলুপ্তি দাবি করেন খালেদা জিয়া। পাশাপাশি তিনি র্যাবের কর্নেল জিয়ার গ্রেপ্তার দাবি করেন। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় কর্নেল জিয়া জড়িত। অবিলম্বে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, ‘সাত খুনের ঘটনায় র্যাব থেকে অবসরে পাঠানো তিন সদস্যকে রিমান্ডের নামে জামাই আদর করা হচ্ছে। তাদের সত্যিকারের রিমান্ডে নেওয়া হলে জিয়ার নাম আসবে, তার ওপরে হাসিনার নাম আসবে। হাসিনা কোনোভাবেই এ থেকে রক্ষা পেতে পারে না।’
পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনী মিরপুরের পল্লবীতে বিহারি ক্যাম্পে আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে বলে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এর চেয়ে বড় অপরাধ আর কী হতে পারে? এর বিচার অাল্লাহ যেমন করবে, পৃথিবীতে বিচার হবে। আন্তর্জাতিক আদালতেও বিচার হবে।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এরা মানুষ নয়, পশু, বানর। এরা শুধু মানুষ খুন ও গুম করতে জানে।’
ক্ষমতাসীন সরকারকে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।
গুম হওয়া বিএনপির নেতা ইকবাল মাহমুদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, মো. সোলায়মানের স্ত্রী সালমা ইসলাম, ছাত্রনেতা মো. রুম্মানের মা পারভীন প্রমুখ বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলায় বিএনপির ২২ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। গত বছরের ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত আরও ১৭ জন খুন এবং ছয়জন গুম হয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আবুল খায়ের ভূইয়া, মো. শাহজাহান, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।