‘তরুণদের ভোট ভাবনায় হাসিনাই ভরসা’
বিশেষ প্রতিনিধি : তরুণদের প্রথম ভোট মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘তারুণ্যের ভোট ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তারা এই আহ্বান জানান। সবুজ পরিবেশ আন্দোলন এই সেমিনারের আয়োজন করে।সেমিনারে অস্ট্রেলিয়ার কার্টেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আশরাফ দেওয়ান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফীন সিদ্দিক বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে ইতিহাসের সত্য তথ্যগুলো জানতে হবে। তারা সত্য জানতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সত্যের পক্ষে তরুণদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। সত্যের মাধ্যমেই তরুণদের ঠিক পথে রাখা যাবে। এই সত্য জানার পথে সব বাধা অতিক্রম করতে হবে।সত্যের মাধ্যমেই ঠিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে। সেজন্য আমাদের যা যা করা প্রয়োজন, সবই করতে হবে। সারাদেশ যেভাবে ডিজিটালাইজড হয়েছে, তাতে দেশ তথা তরুণরা এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমেই তরুণরা তাদের চেতনা এগিয়ে নেবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টিসহ কর্মসংস্থানের সব ধরনের ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের যে ট্রেনটি দ্রুতবেগে ছুটে যাচ্ছে, এই ট্রেন থেকে কেন তরুণরা নেমে যাবে। কেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থাকবে না।
আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৫১ ডলারে। গড় আয়ু বেড়ে ৬৫ থেকে ৭৫ বছর হয়েছে। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে। ডিজিটার বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেন তরুণরা এই সরকারের পক্ষে থাকবে না। আমরা আশা করছি, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বর্তমান সরকারের প্রতি এই তরুণরা আস্থা রাখবে। দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা জাতিরকন্ঠ লাইভ টিভির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান বলেন, ‘৭২ বছর বয়সেও শেখ হাসিনা মানসিক দিক দিয়ে আমাদের তরুণদের চেয়েও তরুণ।তিনি দুঃসময়ের আলোর প্রতীক। যার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। তাই নতুন ভোটারদের বলছি আসুন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি শেখ হাসিনাতেই ভরসা রাখি এবং ৩০ তারিখ তাঁর নৌকাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।’
মূল প্রবন্ধে আশরাফ দেওয়ান বলেন, ‘সবাই এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে চায়, যা হবে উন্নত, কর্মমুখর ও সহিংসতামুক্ত সোনার বাংলাদেশ। দুর্নীতি, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের সমৃদ্ধির পথে বড় বাধা বলে মনে করেন তরুণরা। যে সরকার তাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে সক্ষম হবে, যে সরকার তাদের দাবিকে প্রাধান্য দেবে এবং তাদের অগ্রযাত্রায় সক্রিয় অংশীদার হবে; তরুণরা তাকেই বেছে নেবে।’
সেমিনারে সবুজ পরিবেশ আন্দোলন’র সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহী সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন লেদার অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান, সিনিয়র সাংবাদিক কাওসার আহমেদ, নাদিরা কিরণ, আবৃত্তিকার আহকামুল্লাহ, ক্রিড়া সংগঠক ফয়সাল আহসান প্রমুখ।
অন্য বক্তারা বলেন, একটি দেশ তখনই এগিয়ে যায়, যখন দেশ একটি শুভ শক্তির নেতৃত্বে থাকে। সেই শুভ শক্তির নেতৃত্বে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ আরও প্রশস্ত হয়। উন্নয়নের গতি আরও বেড়ে যায়। তাই আগামী নির্বাচনে তরুণরা সেই শুভ শক্তির, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দলকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।