• শুক্রবার , ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকায় বর্জ্য সরাতে ২সিটি’র সাফল্য


প্রকাশিত: ৮:৫৬ পিএম, ২৩ আগস্ট ১৮ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬১ বার

 

 

 

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকায় বর্জ্য সরাতে ২সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তারা সাফল্য লাভ করেছেন এবার’ও। তারা বলেছেন, কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৯০ শতাংশ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করা হয়েছে। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) সাফল্যের সঙ্গে বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পৃথক দুই সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা।নগর ভবনের সামনে এদিন দুপুর দুইটার দিকে বর্জ্য অপসারণ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করেন সাঈদ খোকন। সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করব।

সেই কাজ অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে।তিনি বলেন, ডিএসসিসি এলাকায় বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারও কোরবানি হবে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত বর্জ্য থাকবে, ততক্ষণ পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাঠে থাকবে। আমরা শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করে নগরবাসীকে বর্জ্যমুক্ত নগরী উপহার দেব।

মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির বর্জ্য হবে। এরই মধ্যে ১৫ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। কাল শুক্রবারও কোরবানি হবে, তাই কাঙ্ক্ষিত ২০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করে আমরা নগরবাসীকে শতভাগ পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেছেন, পূর্বঘোষিত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সাফল্যের সঙ্গে তারা এ কাজ সমাপ্ত করতে পেরেছেন।

গুলশানে সিটি করপোরেশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন জামাল মোস্তফা।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানিতে জনগণের সাড়া ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার মধ্যে ৭, ২৭ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা নিজ নিজ ওয়ার্ডকে কোরবানি পশুর বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করেছেন। এরপর ক্রমান্বয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডকেও বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এসটিএস এবং নির্ধারিত স্থানে কন্টেইনারে বর্জ্য জমা হওয়ার পরপরই তা ল্যান্ডফিলে পরিবহনের কাজ শুরু হয়।

জামাল মোস্তফা বলেন, পরিচ্ছন্নতা কাজে ২৮০টি বিভিন্ন ধরনের যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত ছিল। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিজস্ব ২ হাজার ৭০০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ সর্বমোট ৯ হাজার ৫০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিরলস পরিশ্রম করে ঢাকা শহরকে আবর্জনামুক্ত করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন, তারেকুজ্জমান রাজিব, ডা. জিন্নাত আলী, দেওয়ান আব্দুল মান্নান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Recent Posts