• বৃহস্পতিবার , ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ডোম ইনো এমডির জালিয়াতি ফাঁস


প্রকাশিত: ৮:০৮ পিএম, ২৫ নভেম্বর ১৯ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২১৪ বার

কোর্ট রিপোর্টার : এবার ডোম ইনো এমডির জালিয়াতি ফাঁস হয়েছে। এনিয়ে দায়ের করা মামলায় তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত বলেছে, ডোম ইনো প্রোপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি মো. আবদুস সালামের স্বাক্ষরে এনামুল হকের স্বাক্ষর জাল করে রাজউক থেকে অনুমোদন করান। এনিয়ে দুদকের দায়ের করা এক মামলায় ডোম ইনোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি আবদুস সালামকে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একেএম ফারহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আসামিপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। আইনজীবী একেএম ফারহান জানান, হাইকোর্ট তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, বনানীর আবাসিক এলাকায় জনৈক মো. সিরাজুল ইসলাম তৎকালীন ডিআইটি থেকে ১৯৭৪ সালে ৫ কাঠা জমি বরাদ্দ পান। তার মৃত্যুর পর ওই প্লটের ওয়ারিশসূত্রে স্ত্রী বেগম রোকেয়া ইসলাম, ছেলে মো. এনামুল হক, মো. একরামুল হক, মেয়ে আক্তার বানু ও নাহিদ আক্তার মালিক হন।

পরে ২০০৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর ডোম ইনো প্রোপার্টিজ লিমিটেডের সঙ্গে ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য এনামুল হকের স্বাক্ষর ছাড়াই চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়। পরে ডোম ইনো প্রোপার্টিজের অনুকূলে আমমোক্তারনামার মাধ্যমে ক্ষমতাসহ ইমারত নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব দেন। এনামুল হক ২০০৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত লন্ডনে ছিলেন।ডোম ইনো প্রোপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি মো. আবদুস সালামের স্বাক্ষরে এনামুল হকের স্বাক্ষর জাল করে রাজউক থেকে অনুমোদন করান।এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলী আকবর পাঁচজনকে আসামি করে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে জাল সিল-স্বাক্ষর ব্যবহার করে মিথ্যা নকশা অনুমোদন দেখিয়ে নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ আনা হয় বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।