টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভাঙ্গলেন নাপিত-
স্পোর্টস রিপোর্টার : বিশ্বসেরা ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার এবার তাঁর রেকর্ড ভঙ্গ করলেন ‘সেই’ মহিলা নাপিতদ্বয়ের কাছে। যারা ইতিমধ্যে নিজেরাও বিখ্যাত হয়ে গেছে নিজের কৃতকর্ম ও অসাধারন যোগ্যতার কারণে। এরা হচ্ছে ভারতের উত্তর প্রদেশের বানওয়ারি তোলা গ্রামের দুই বোন নেহা ও জ্যোতি। তাদের বাবা একজন নাপিত, গ্রামের ছোট্ট একটি দোকানের আয় দিয়েই সংসার চলতো তাদের।২০১৪ সালে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে জীবন চালাতে নাপিতের কাজ শুরু করেন দুই বোন।তাদের আয়ে চলতে থাকে বাবার চিকিৎসা, পরিবারের ভরণপোষন ও তাদের লেখাপড়া।শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ক্রিকেটের মহাতারকা শচীন টেন্ডুলকার একটি ছবি পোস্ট করেন।ছবিতে নেহা ও জ্যোতিকে গভীর মনযোগে চেয়ারে বসা শচীনের দাড়ি কামাতে দেখা যায়।
নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ছবির নিচে শচীন লেখেন, “আপনারা হয়তো এটা জানেন না, আমি আগে কখনো অন্য কাউকে দিয়ে দাড়ি কাটিনি। আজ ওই রেকর্ড ভেঙ্গে গেল। #বারবারশপগার্লস দের সঙ্গে দেখা করতে পারা সত্যিই সম্মানের।শচীনের এই পোস্ট ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়। ১৯ ঘণ্টায় পোস্টে আট লাখ ২৫ হাজারের বেশি ‘লাইক’ পড়ে। শত শত মানুষ তাতে ‘কমেন্ট’ করেছেন।যদিও নেহা ও জ্যোতির ইন্টারনেটে ঝড় তোলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়।দুই বোনের জীবন অবলম্বনে ভারতে নির্মিত একটি বিজ্ঞাপন সম্প্রতি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।ইউটিউবে বিজ্ঞাপনটি এক কোটি ৬০ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে বলে জানায় এনডিটিভি।
বিজ্ঞাপনের একটি লাইন, যে ব্লেড দিয়ে দাড়ি কামানো হয় সেটি জানে না তার ব্যবহার একটি মেয়ে করছে, নাকি পুরুষ।বিজ্ঞাপনে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লাইন বলে মত শচীনের।তিনি বলেন, যেখানে স্বপ্ন দেখায় বিভেদ নেই সেখানে আমরা কেন বিভেদ করি?আশা করি আজকের অনেক শিশু নেহা, জ্যোতি ও তাদের গ্রামের অসাধারণ সাহস এবং প্রথা ভেঙ্গে সামনে অগ্রসর হওয়া দেখে অনুপ্রাণিত হবে। লেখাপড়া এবং পেশা জীবনের প্রয়োজন মেটাতে নেহা ও জ্যোতিকে বৃত্তিও প্রদান করেছেন শচীন।