• শনিবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৫

চোরকেও দয়া করে দয়ার সাগর সালাহ


প্রকাশিত: ৩:১২ পিএম, ৬ জুন ১৮ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬২ বার

স্পোর্টস রিপোর্টার :  চোরকেও দয়া করে দয়ার সাগর সালাহ। সব ফুটবলারকে ছাপিয়ে দয়ার সাগর সালাহ ফুটবলার হিসেবে salah-www.jatirkhantha.com.bdমোহাম্মদ সালাহর খ্যাতি জগতজোড়া। বর্তমান বিশ্বে লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদের কাতারেই তার নাম উচ্চারিত হচ্ছে। তবে মিসরীয় ফরোয়ার্ডের অন্য একটি পরিচয় আছে। তিনি দয়ামায়ার সাগর। এ নিয়ে রয়েছে তার অসামান্য খ্যাতি, যা সব ফুটবলারকে ছাপিয়ে গেছে। নিজ শহর নাগরিগে ব্যাপক জনপ্রিয় সালাহ।

নেপথ্যে রয়েছে মহানুভবতা। তার কাছে সবার আগে নিজ শহর। তার পর বাকি কিছু। সেই বুঝতে শেখার পর থেকেই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য দুই হাত ভরে খরচ করেন তিনি। সর্বদা শহরের উন্নয়নে নিবেদিত থাকেন। সেখানে নিজের নামে একটি জিম বানিয়েছেন। তবে সেটি সবার জন্য উন্মুক্ত। তারকাখ্যাতি পাওয়ার পরও সালাহর চোখ উল্টেনি। আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

আগের মতোই এলাকায় এসে শিশুদের সঙ্গে ফুটবল খেলেন। খেলেন পুল, টেবিল টেনিস। আইয়াদ আল তানতাওয়েতে পড়াশোনা করেন সালাহ। সেখানে ছেলেমেয়েদের খেলার জন্য ফুটবল পিচ বানিয়ে দিয়েছেন তিনি। যারা টাকার অভাবে বিয়ে করতে পারেন না, তাদের অর্থ সাহায্য করেন। কায়রোর একটি হাসাপাতালে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের জন্য ৬ লাখ ডলার দান করার নজির রয়েছে তার।

সালাহর মহানুভবতার আরও গল্প রয়েছে। বাছাইপর্বে কঙ্গোর বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করে মিসরকে বিশ্বকাপের টিকিট পাইয়ে দেন তিনি। এ জন্য তাকে একটি ভিলা উপহার দিতে চান দেশটির শীর্ষ ক্লাব জামালেকের সাবেক সভাপতি। তবে তা নিতে অস্বীকৃতি জানান মিসরীয় কিং। এর পরিবর্তে শহরের বাসিন্দাদের জন্য সাহায্য চান তিনি। দ্য ফারাওখ্যাত ফুটবলারের মহানুভবতার আরও একটি মজার ঘটনা রয়েছে।

একবার সালাহর বাড়িতে বড় ধরনের চুরি হয়। তার বাবা মামলা করেন। পরে ওই চোরকে পুলিশ আটক করে। সে খবর শুনে চোরকে ছাড়িয়ে আনেন তিনি। শুধু তাই নয়, চোরকে আর্থিক সাহায্যও করেন এবং পরামর্শ দেন, যাতে আর চুরি না করেন। তারকাখ্যাতি পেয়েও শেকড়কে ভুলে যাননি সালাহ। প্রতি রমজান মাসে শহরে আসেন তিনি।

শুধু আসেন বললে ভুল হবে, সব শিশুর জন্য হাতভরে উপহার নিয়ে আসেন। লিভারপুল ফরোয়ার্ডের বন্ধু মোহাম্মদ বাসিওয়ানি বলেন, তারকা হয়েও এতটুকু বদলে যাননি সালাহ। সে সবাইকে অটোগ্রাফ দেন। সবার সঙ্গেই ছবি তোলেন। কাউকে নিরাশ করেন না।

উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল ডিফেন্ডার সার্জিও রামোসের বাজে ট্যাকলের বলি হয়ে কাঁধের ইনজুরিতে পড়েন সালাহ। এতে তার বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। অবশেষে এসেছে সুখবর, খেলতে পারবেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই কান্না দূরীভূত হয়ে হাসি ফিরেছে মিসরবাসীর মুখে।