• সোমবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৫

খালেদার জামিন শুনানিতে বিএনপির হৈচে


প্রকাশিত: ২:৪১ পিএম, ৮ মে ১৮ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার

 

 

কোর্ট রিপোর্টার  :  খালেদা জামিন শুনানিতে বিএনপির হৈচে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি khalada-jamin-www.jatirkhantha.com.bdচেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিনের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত।এর আগে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আপিলের শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি চলে।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।এ মামলায় সকালে শুনানি শুরু করেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এর পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আপিল শুনানি করেন।

শুনানিতে মাহবুবে আলম মামলার নথি পাঠ করে আদালতকে বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা বিচারিক আদালতে চলাকালে ৬৭টি তারিখের মধ্যে খালেদা জিয়া মাত্র আট দিন হাজির হয়েছিলেন। আবার হাজির হলেও বারবার সময় আবেদন করেছেন। মামলার পাঁচ বছর পর চার্জ গঠন হয়। এর পর তারা কয়েকবার হাইকোর্টে মামলা করে সময় ব্যাহত করেন।’

এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের মাঝে আপত্তি তুলে ধরে বলেন, ‘তিনি রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি এসব কী পড়ছেন?’ এ পর্যায়ে এজলাসে উপস্থিত বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা উচ্চ স্বরে ইয়েস…ইয়েস বলে জয়নুল আবেদীনকে সমর্থন জানান এবং তারা হৈচৈ শুরু করেন।

তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বিচারপতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘তারা এমন করলে কিভাবে শুনানি করবো?’ তখন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আপনারা এমন করলে কিন্তু শুনানি করতে পারবো না।’ পরে আদালতের পরিস্থিতি শান্ত হলে অ্যাটর্নি জেনারেল পুনরায় শুনানি শুরু করেন।  পরে আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।

গত ১২ মার্চ দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে আদালত।

এর পর ১৯ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ ৮ মে পর্যন্ত জামিন স্থগিতের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীদের আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলেন।চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।রায়ের দিনই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ তার কারাবরণের তিন মাস পূর্তি হলো।