• শুক্রবার , ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্লিন বোল্ড বিচারক কামরুন্নাহার-ধর্ষণ কেসে গোল্ডস্মাগলার প্রভাব


প্রকাশিত: ৯:৫৯ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২১ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০১ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশের বহুল আলোচিত রেইনট্রি ধর্ষণ কেসে গোল্ডস্মাগলার প্রভাবে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্লিন বোল্ড হতে চলেছেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার। ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী পরিস্কারভাবে বিষয়টি বলে দিয়েছেন। আইন মন্ত্রী বলেছেন, অবজারভেশনে ৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়, বিচারকের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক। ওদিকে ধর্ষণ মামলার রায়ে ৫ ধর্ষক খালাসে কে প্রভাবিত হয়েছিলেন তা নিয়েও এখন নানা প্রশ্ন নানা সমালোচনা! প্রশ্ন উঠেছে স্বর্ণ চোরাচালানীদের প্রভাব কত লম্বা! এসব প্রভাব ঘিরে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ওই বিচারকের অসাংবিধানিক তৎপরতা ও অনৈতিক ক্রিয়াকলাপ!

আইন মন্ত্রী বলেছেন, ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার এর দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে জন্য প্রধান বিচারপতিকে তিনি চিঠি লিখবেন বলে আজ শনিবার জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।আনিসুল হক বলেন, ‘একটি কথা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমি ওই বিচারকের (বেগম মোছা. কামরুন্নাহার) রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে এখন কথা বলতে চাই না। কিন্তু উনার (বিচারক) অবজারভেশনে ৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়, এই যে বক্তব্য উনি দিয়েছেন, এটি সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ কারণে আমি প্রধান বিচারপতির কাছে তাকে বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে জন্য একটা চিঠি লিখছি। রোববার এই চিঠি দেওয়া হবে।’এর আগে গত ১১ নভেম্বর দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণার পর পর্যবেক্ষণে আদালত পুলিশের উদ্দেশে ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ ধর্ষণের মামলা করতে যায়- তা না নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় দেন। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল রিলেশনে অভ্যস্ত। তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গেছেন। সেখানে গিয়ে সুইমিং করেছেন। ঘটনার ৩৮ দিন পর তারা বললেন, ‘আমরা ধর্ষণের শিকার হয়েছি’। অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া এরপর থেকে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায়- তা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

Recent Posts