কোটা’য় রাজনৈতিক ইন্ধনকারীরা অধরা কেন!
বিশেষ প্রতিনিধি : কোটায় রাজনৈতিক ইন্ধন বেশ জমে উঠেছে। পুলিশ জানে কারা ইন্ধন দিচ্ছে-কারা এর নেপথ্যে কাজ করছে। কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের না ধরে ধরছে ছাত্রদের। এতে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, কোটায় রাজনৈতিক ইন্ধনকারীরা অধরা কেন!
এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের
হাতে ঘণ্টা খানেকের জন্য আটক ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, ব্লগার বাকী বিল্লাহ। মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে তাকে আটক করে রমনা থানায় নেওয়া হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের উপর গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় হামলা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে ‘অভিভাবক’ ব্যানারে মঙ্গলবার বিকালে সমাবেশ ডাকা হয়েছিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে।সেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক অনেকে ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তারা সমাবেশ করতে গেলে অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ ও বাকী বিল্লাহকে আটক করে পুলিশ।বাকি বিল্লাহকে পুলিশ ভ্যানে তোলার পর রেহনুমা আহমেদ ও ফাহমিদুল হকও ভ্যানে উঠে পড়েছিলেন। অধ্যাপক ফাহমিদ ফেইসবুকে লেখেন, আমার পরিচয় দেওয়ার পরও পুলিশ আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে।
বাকী বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করলে আমি আর রেহনুমা আহমেদ ভ্যানে উঠে যাই এবং অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে চাই।অফিসার এসে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে আমি প্রিজন ভ্যানের ক্ষতিসাধন করেছি। তাই গ্রেফতার করা হবে। পুলিশের সঙ্গে আমার ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছে, তারা গ্রেফতারও করতে চেয়েছে, কিন্তু আন্দোলনকারীরা করতে দেয়নি।
পরে তুলে নেওয়ার ঘণ্টাখানেক পরে রমনা থানা থেকে বাকীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে সোয়া ৫টার দিকে মুচলেকা নিয়ে আমাকে ছাড়ে।এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে ‘সংশ্লিষ্ট একটি গ্রুপ’ ফেইসবুকের মাধ্যমে অভিভাবকদের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হওয়ার জন্য বলেছিল।
কিন্তু আমরা প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে দেখি তারা বামপন্থি লোকজন। তারা সিপিবি এবং বাসদের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে। তাদের আমরা বাধা দেয়নি। তবে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকী বিল্লাহ সেখানে বেশ ঝামেলা করছিল। তাকে থানায় আনার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ।