• মঙ্গলবার , ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কি আছে সাঈদীর কপালে? মৃত্যুদন্ডের জন্য রাষ্ট্রপক্ষে পাঁচ গ্রাউণ্ড


প্রকাশিত: ৫:৩৬ পিএম, ৮ এপ্রিল ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৩ বার

প্রিয়া রহমান  :  কি আছে সাঈদীর কপালে?  একদিকে রায় Saydi-www.jatirkhantha.com.bd৩০ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদন অন্যদিকে ৯০ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে আমৃত্যু কারাদণ্ড থেকে খালাস পেতে ১৬টি যুক্তি দেখানো হয়েছে সাঈদীর পক্ষে।

আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা রিভিউ আবেদন ও খালাস চেয়ে করা সাঈদীর রিভিউ আবেদন পুনর্গঠিত বেঞ্চে ফের রবিবারের কার্যতালিকায় এসেছে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কার্যতালিকায় বিষয়টি ১৩৯ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির পুনর্গঠিত আপিল বেঞ্চে সাঈদীর রিভিউ শুনানির জন্য জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহাব মিঞাকে রাখা হয়েছে। অন্য তিন বিচারপতি হলেন, বিচাপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার। পুনর্গঠিত বেঞ্চে পূর্বের চার বিচারপতির সঙ্গে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিঞাকে যুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সাঈদীর রিভিউ শুনানির জন্য আগামী ১৪ মে দিন ধার্য করে রেখেছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের  ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন।

২০১৪ সালে সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মামলার আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিঞা সেই বেঞ্চের সদস্য ছিলেন। ওই বেঞ্চের অন্য সদস্যরা ছিলেন- বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বর্তমানে অবসরে যাওয়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী।

গত বছরের ১৭ জানুয়ারি আপিলের রায় থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন দায়ের করেন সাঈদী। মোট ৯০ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে আমৃত্যু কারাদণ্ড থেকে খালাস পেতে ১৬টি যুক্তি দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে ১২ জানুয়ারি সাঈদীর অমৃত্যু কারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করার জন্য রাষ্ট্রপক্ষ পাঁচটি গ্রাউণ্ডে ৩০ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদন করেন।