• বুধবার , ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ওয়ান্টেড প্রাণ আরএফএল বালু নদীর ১২৫০০ ফুট দখল


প্রকাশিত: ২:১৩ এএম, ২৫ অক্টোবর ২১ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৫ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : বালু নদীর ১২৫০০ ফুট তীর দখলে ওয়ান্টেড প্রাণ আরএফএল গ্রুপ। রাজধানীর ঢাকার পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বালু নদীর তীরভূমি ও নদীগর্ভ ভরাট করে দখলের অভিযোগে প্রাণ-আরএফএল গ্ৰুপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) । এছাড়া বালু ভরাটে সহযোগিতা করায় দুটি ড্রেজার কোম্পানি ও অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে মামলায় আসামী করা হয়েছে। আজ রবিবার রাতে খিলক্ষেত থানায় মামলাটি দায়ের করেন টঙ্গী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক (বওপ) রেজাউল করিম।

এর আগে গতকাল দুপুরে রাজাখালী নৌপুলিশ ফাঁড়ির সহযোগিতায় খিলক্ষেত থানাধীন পাতিরা মৌজায় বালু নদীতে অভিযান চালায় বিআইডব্লিউটিএ। এ সময় সরকারি সংস্থাটির কর্মকর্তারা দেখতে পান, দুটি ড্রেজার দিয়ে বালু নদীর পশ্চিম পাশে তীরভূমি ও নদীগর্ভ ভরাট করছে প্রাণ-আরএফএল গ্ৰুপ। ইতোমধ্যে নদীর ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর সীমানা পিলারের অভ্যন্তরে প্রায় ১২ হাজার ৫০০ বর্গফুট নদীর জমি ভরাট করা হয়ে গেছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া টঙ্গী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, আমাদের দেখে ড্রেজার দুটি পালিয়ে যায়। তাই কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মামলায় প্রাণ-আরএফএল গ্ৰুপের ম্যানেজার এডমিন মো. ফয়সাল মাহমুদ ও মো. সরওয়ার জাহানসহ এমভি তিথী ড্রেজার ও সোহা মেসার্স মদিনার পথে এম নং-১৮৭৩৪ নামে দুটি ড্রেজার কোম্পানি ও অজ্ঞাতনামা ৭-১০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভরাট করে নদীর গতিপথ সংকুচিত করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে নৌ দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। পরিবেশ ভারসাম্য নষ্ট হয়। সরকার দখলদারদের হাত থেকে সারাদেশের নদ-নদী উদ্ধারে বদ্ধ পরিকর। আইন অনুযায়ী, নদীর সীমানা পিলারের মধ্যে কোন ভরাট বা স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। এমনকি সীমানা পিলারের বাইরে ১৫০ ফুট পর্যন্ত জায়গায় কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমতি নিতে হবে। প্রাণ-আরএফএল গ্ৰুপ সীমানা পিলারের ভেতরেই দৈর্ঘ্যে ২৫০ ফুট ও প্রস্থে ৫০ ফুট নদীর জমি ভরাট করে ফেলেছে। অভিযান চালিয়ে ভরাট কাজ বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। একইসঙ্গে ভরাটকৃত জায়গা পুনরায় খনন করার জন্য তাদেরকে বলে এসেছি। আমরা নিয়মিত বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করব।