‘উচ্চশিক্ষায় বোরকা গায়ে দিয়ে পড়বে’
হাটহাজারী প্রতিনিধি : বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ ভুলভাবে গণমাধ্যমে প্রচার করে, মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আমাকে নারী বিদ্বেষী হিসেবে উপস্থাপন করার অপপ্রয়াস চলছে বলে অভিযোগ করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হেফাজতের কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক বিবৃতি এ অভিযোগ করেন তিনি।
আহমদ শফী বলেন, ‘কারো বক্তব্যকে ব্যাখ্যা দিতে হলে আপনাকে তার কথা বুঝতে হবে। অনুধাবন করতে হবে। না বুঝে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দাঁড় করানো এক ধরনের অপরাধ। আর খণ্ডিত বক্তব্যকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা আরও বড় অপরাধ। কোনো কিছু লিখতে চাইলে সুস্থ মস্তিষ্কে চিন্তাশীল হয়ে সঠিক কথাটি লিখবেন। তা না হলে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ও ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।’
একটি মহল তাকে বিতর্কিত করতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে দাবি করে হেফাজতে ইসলামের আমির বলেন, ‘আমাকে নারী বিদ্বেষী, নারী শিক্ষা বিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আমি এসব কথার জবাব দিয়েছি। জবাবটি ভালোভাবে পড়ুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন। মিথ্যাচার করবেন না।’শফী তার বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, নারীদের জন্যে নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষার ব্যবস্থা করুন এবং তাদের জীবন ও ইজ্জতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
কেউ কারো কন্যাকে অনিরাপদ পরিবেশের দিকে ঠেলে দিতে পারে না। কারণ, দৈনিক পত্রিকা খুললেই প্রতিদিন চোখে পড়ছে কোথাও না কোথাও কোনো নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে অথবা খুন করা হয়েছে। নৈতিকতা অর্জন না হলে ধর্ষণ, খুন ও উত্ত্যক্তকরণ বন্ধ হবে না। নারীর প্রতি বৈষম্যতা দূর হবে না। ইসলামই ফিরিয়ে দিয়েছে নারীর প্রকৃত সম্মান।’
কেউ কেউ তার খণ্ডিত বক্তব্যকে ভুলভাবে প্রচার করে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে দাবি করে আহমদ শফী বলেন, ‘এসব হীন কাজ করবেন না। কারো বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করবেন না। আমার কথার সারাংশ হলো, উচ্চশিক্ষা কিংবা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াতে চাইলে বোরকা গায়ে দিয়ে পড়বে।’ বিবৃতিতে নারীদের শিক্ষককে মহিলা হতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি।