• শুক্রবার , ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ইয়াবায় মাতাল মডেল রিসিলার রহস্যজনক আত্মহত্যা-নানা প্রশ্ন!


প্রকাশিত: ১২:০১ পিএম, ১ আগস্ট ১৭ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৭ বার

স্টাফ রিপোর্টার :  মডেল রিসিলার রহস্যজনক আত্মহত্যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সূত্র মতে মডেল রিসিলা প্রায় সময় ইয়াবায় মাতাল risila-www.jatirkhantha.com.bd-1থাকত। ঘটনার দিন সে তার স্বামী ইমরুল হাসানকে মোবাইল ফোনে ভিডিও কল দেন র‌্যাম্প মডেল ও অভিনেত্রী রিসিলা বিনতে ওয়াজের। স্বামীকে বলেন- দেখ, আমি কী করি! তখন ওই মডেলের হাতে ওড়না। তিনি চেয়ারে দাঁড়িয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না বাঁধেন। এর পর নিজের গলায় ফাঁস দেন!

নরসিংদীতে অবস্থানরত স্বামী ভিডিওতে দেখেন স্ত্রীর আত্মহত্যার দৃশ্য। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফোন দেন শাশুড়ি ও স্বজনদের। ততক্ষণে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে থাকে রিসিলার নিথর দেহ। সোমবার গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে ঘটে এ ঘটনা। শুরুর দিকে রিসিলার স্বজনরা ঘটনাটি চেপে যান। দুপুরের দিকে তারা রিসিলাকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আত্মহত্যার আলামত দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

রিসিলা মূলত র‌্যাম্প মডেলিং করেন। এ ছাড়া টিভিতে কয়েকটি নাটকেও তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের পোশাকের মডেলও ছিলেন তিনি। গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারের ১০ম তলার একটি ফ্ল্যাটে স্বামী ও সাড়ে ৩ বছর বয়সী মেয়ে নিয়ে তিনি থাকতেন। সেখানেই রিসিলা আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। তার স্বামী ইমরুল হাসান একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা।

ইমরুল হাসান পুলিশকে জানিয়েছেন, তার স্ত্রী মাদকাসক্ত ছিলেন। বাইরে গিয়ে নিয়মিত ইয়াবা সেবন করতেন। এ নিয়ে বাধা দিলে তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। চারদিন আগে রাতে এক বন্ধু তাকে ইয়াবা সেবনের দাওয়াত দিয়ে বাইরে ডাকে। এতে তিনি বাধা দেন। এ থেকেই ক্ষেপে যান স্ত্রী।

ইমরুল বলেন, তিনি অফিসের কাজে সকালে নরসিংদী যান। এরপর তার শিশু মেয়েটিকে বোনের বাসায় পাঠিয়ে দেয় রিসিলা। পরে সে আত্মহত্যা করে। ভিডিও ফোনে তাকে সে দৃশ্য দেখায়। স্বজনরা ছুটে গেলেও তাকে বাঁচাতে পারেনি।

গুলশান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জাতিরকন্ঠ কে জানান, রিসিলার স্বামীর ভাষ্য তারা আমলে নিয়ে ঘটনার তদন্ত করছেন। ওই মডেল কন্যার কয়েকজন বন্ধু ও সহকর্মীরাও বলেছেন, রিসিলা নিয়মিত ইয়াবা সেবন করতো। এজন্য সব সময় তার মধ্যে বিষাদও ছিল। সব বিষয়েই তদন্ত চলছে।