‘ইন্দ্রিরা’দি আশ্রয় নাদিলে কিযে হতো’
বিশেষ প্রতিনিধি : শুক্রবার শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবেগ প্রবন হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বলেন, ওই সময় ইন্দ্রিরা’দি আমাদের ভারতে আশ্রয় না দিলে কি যে হতো ভাবতেই পারিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেসময় আমরা দু’বোন জার্মানিতে ছিলাম। আমাদের দু’বোনকেও আশ্রয় দেয়া হয় ভারতে। ইন্দিরা গান্ধী জার্মান দূতাবাসে নিয়োজিত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূতের নিকট ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পাঠায়। তারপর আমাদের ভারতে আশ্রয় দেয়া হয়। সেসময় উনি যে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তা না হলে আমাদের দু’বোনের যে কী হতো তা ভাবতেও পারি না।’
‘১৯৭৫ সালে আমাদের পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। আমাদের তিন পরিবারের প্রায় সবাইকে মেরে ফেলা হয়। সেসময় যারা বেঁচে ছিলো তারা আহত অবস্থায় প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয়। সেসময় ভারত তাদের আশ্রয় দেয় ।
সেসময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে ভারতের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন।
অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উপস্থিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশ এক হয়ে চলতে চাই, কিছু সমস্যা আছে, যে কোন সমস্যা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্য দিয়ে সমাধান সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে ছিটমহল বিনিময় করেছে। ছিটমহল বিনিময়ের দিন মনে হয়েছে, একাত্তরের মতই আমাদের প্রতিবেশী দেশ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতবাসীর অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন: আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতবাসী আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
তাদের সেই অবদান অামরা কখনোই ভুলতে পারি না। আমাদের ১ কোটি শরণার্থীকে তারা অাশ্রয় দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে ভারতবাসী ও বাংলাদেশের মানুষের রক্ত এক হয়ে মিশে গেছে।