ইউএস বাংলা’ বিধ্বস্তে ৫০ নিহতের শংকা
নেপাল প্রতিনিধি : ১৭ বছরের পুরনো লক্কর মার্কা এয়ারক্রাফট দিয়ে নেপালে যাত্রী পরিবহন করছিল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। এয়ারক্রাফটির ফিটনেস ছিল কিনা সেটি নিয়ে কোন কথা বলছে না ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।নেপাল সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র বলেছে, টার্বোপ্রপ ইঞ্জিনচালিত এই বিমানটি রানওয়ের বদলে এয়ারপোর্টের একটি ফুটবল মাঠে দাঁড়িয়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। পড়ে সেটিতে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র মতে, ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডুগামী ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের বিমানটি স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ৩.২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বোম্বাইডার ড্যাস কিউ৪০০ বিমানটি। কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ঘটে যায় দুর্ঘটনাটি। রানওয়েতে নামার বদলে বিমানটি বাইরে চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন লেগে যায় তাতে।
এখনও পর্যন্ত ১৭জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিমানটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানটিতে ৭১ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে ৪ জন চালক ও বিমানকর্মী।বিমানটি ভেঙে পড়তেই উদ্ধারকাজে নামে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার করা হয় একাধিক যাত্রীকে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেননিরাপত্তারক্ষীরা।
ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল। চেষ্টা চলছে আগুন নেভানোর। বিমানটি ১৭ বছরের পুরনো বলে জান গিয়েছে। তবে এখনও দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট নয়।