‘আমি খুনী পরিবারের বিরুদ্ধে লড়ছি’
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচনে ভোট-ত্রাসের অভিযোগ বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের ‘পুরোনো অভ্যাস’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, বলেন, আমি একটি খুনী পরিবারের বিরুদ্ধে লড়ছি। আমার মা-ও আমাকে সাবধান করেছেন। তবে, নগরবাসীর জন্য আমি যেকোনো ত্যাগস্বীকার করতে রাজি আছি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান দুই দলের এই দুজন প্রার্থী লাগাতার একের পর এক অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ করছেন। ২৬ জুন সেখানে নির্বাচন। আজ রোববার নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন। শেষ দিনে জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন দুই দলের প্রার্থীই। এর মধ্যেই একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন তাঁরা দুজন।
আজ সকালে বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার টঙ্গী কলেজ গেটে বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোট-সন্ত্রাসের অভিযোগ করেন।বিকেলে গাজীপুরে হারিকেন এলাকায় নিজ বাড়ির পেছনে খালি জায়গায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
বাড়ির পেছনে শামিয়ানা টাঙিয়ে মঞ্চ বানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বেলা তিনটার দিকে জাহাঙ্গীর আলম বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘আমি খুনি পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। উনি (হাসান উদ্দিন সরকার) আমাকে যথেচ্ছ ভাষায় গালিগালাজ করছেন। একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির কাছ থেকে এমনটা আশা করা যায় না। উনি ভোট না চেয়ে অভিযোগ করে যাচ্ছেন।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘উনি অভিযোগ করছেন, তাঁর এজেন্টদের কেন্দ্রে না যেতে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। উনি ওনার সব এজেন্টদের চেনেন কি না, তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অথচ আমরা নির্বাচন-প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমরা দলগতভাবে এজেন্টদের একাধিকবার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’
বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়, এমন কোনো একটি কাজ তিনি করেছেন, এমন উদাহরণ হাসান সরকার দিতে পারবেন না। ৪২৫টি কেন্দ্রের প্রতিটি জায়গায় তিনি গিয়েছেন। হাসান সরকারের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছেন। সহযোগিতা করেছেন। অথচ হাসান সরকার তাঁকে নিয়ে বাজে কথা বলে চলেছেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ভোট-সন্ত্রাসের যে অভিযোগ তিনি করেছেন, এটি তাঁর পুরোনো অভ্যাস। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে তিনি কীভাবে ভোট নিয়েছেন, সেটা গাজীপুরের মানুষ জানেন। তাঁদের ইতিহাস হচ্ছে মানুষকে রক্তাক্ত করার ইতিহাস।’
হাসান উদ্দিন সরকারের পরিবারকে ‘খুনি পরিবার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০১ সালে হাসান সরকার নির্বাচিত হওয়ার পর গাজীপুরের মাটিতে আওয়ামী লীগের সাংসদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপি সরকারের আমলেই আদালতের রায়ে হাসান সরকারের ভাই নুরুল ইসলাম সরকারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।